রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) রোড শোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ভগবানপুর এলাকায়। রোড শো করতেই পারলেন না তৃণমূল সাংসদ (TMC MP)। প্রচারপর্ব অসম্পূর্ণ রেখেই ফিরে যেতে হল তারকাকে (TMC MP)।
সোমবার ভগবানপুরের (Bhagabanpur) ২ নম্বর ব্লকে প্রচার করতে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) অর্ধেন্দু মাইতির হয়ে প্রচার করার কথা ছিল তাঁর। সময়মতো এলাকায় পৌঁছেও গিয়েছিলেন তারকা সাংসদ। অভিযোগ, মিমির রোড শো শুরু হওয়ার ঠিক আগেই সেখানে বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) রবীন্দ্রনাথ মাইতির গাড়ি ঢুকে পড়ে। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি দেখেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তৃণমূলের (TMC) কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মাইতির উপর হামলা করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বসে বসে পড়েন রবীন্দ্রনাথ মাইতি। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফিরে যান মিমি চক্রবর্তী। পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: ‘মা-বোনেদের দু’পায়ের ভরসাতেই লড়ব’, অসুস্থতা সত্ত্বেও হার মানতে নারাজ মমতা]
এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “চূড়ান্ত বর্বর একটা দল। রবীন্দ্রনাথ মাইতির উপর নির্লজ্জ আক্রমণ হয়েছে। আমরা ধিক্কার জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি আগামী দিনে জাদুঘরেই এই দলের নাম পাওয়া যাবে বাস্তবে আর থাকবে না। কাটমানিখোর, নির্লজ্জ, সন্ত্রাসী দলকে মানুষ আর ঠাঁই দেবে না। তাই তার নখ, দাঁত বেরিয়ে এসেছে। আর তাই আমরা জনগণকে আহ্বান করছি, আপনারা এর বিচার করুন।” যদিও স্থানীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের মুগবেড়িয়া এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একাধিক তৃণমূল সমর্থক আহত হয়েছেন। আহতরা প্রত্যেকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।