রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বিজেপি কর্মীর (BJP) দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) খেজুরির ভূতপিনগরের। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই যুবককে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম শম্ভু বারুই। গড়বাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বংশীধর এলাকার বাসিন্দা তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ভূপতিনগরের গড়বাড়ি এলাকায় রেল লাইনের পাড়ে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। দেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানান। মৃতের পরিবারে সদস্যরা জানিয়েছেন, গতকাল তাঁদের বাড়ির পাশে পুজো হচ্ছিল। রাত তিনটে নাগাদ ফোন করে শম্ভুকে ডেকে পাঠায় একজন। তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান শম্ভু। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই খুন করেছে ওই যুবককে। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ ফেলে যাওয়া হয়েছে মাঠে।
[আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের উপর হামলায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ১৬, ঘটনার রিপোর্ট তলব কমিশনের]
ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে বলেই দাবি বিজেপি নেতাদেরও। তাঁদের কথায়, “এলাকার বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন শম্ভু। সেই কারণেই তৃণমূলের তরফে খুন করা হয়েছে।” অভিযুক্তদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি শাসকদলের। তৃণমূল নেতাদের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা। উল্লেখ্যে, ভোটের মরশুমে কার্যত প্রতিদিনই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে আসছে। আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মীরা। প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। নির্বাচন চলাকালীন লাগাতার এহেন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে।