রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গত কয়েক মাস ধরে ক্রমেই চড়ছিল উত্তেজনার পারদ। যা তুঙ্গে উঠেছিল রবিবারের সকাল হতে না হতেই। বাংলা তো বটেই, বলতে গেলে গোটা দেশই তাকিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের দিকে (WB Assembly Polls 2021)। বেলা যত গড়িয়েছে, ততই স্পষ্ট হয়েছে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিজেপি (BJP) সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) গলায় স্পষ্টতই হতাশার সুর। দলের এহেন ফলাফলের পরে এই প্রথম সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের কাছে মুখ খুললেন দিলীপ ঘোষ। কথা বলতে গিয়ে স্পষ্টতই জানালেন, এই ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি বহু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন দিলীপ।
গত বছরের পুজোর সময় থেকেই তথাকথিত বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতানেত্রীদের গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া শুরু হয়। এবছরের শুরু থেকেই দলবদলের গতি আরও বাড়ে। শাসক দল থেকে এতজনকে পাওয়ার পরেও শেষ পর্যন্ত এই ফলাফল কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ জানাচ্ছেন, ”তৃণমূল থেকে যাঁরা এসে টিকিট পেয়েছিল, তাঁদের মানুষ কীভাবে নিয়েছে, কেনই বা গ্রহণ করল না তা আমাদের পর্যালোচনা করতে হবে।” এভাবেই বাংলায় তাঁদের দলের ব্যর্থতার দায় কার্যত দলবদলুদের উপরেই চাপালেন তিনি। সেই সঙ্গে সিপিএম-কংগ্রেসের ভোট পুরোটাই তৃণমূল পেয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘দুই-তৃতীয়াংশ আসনে জিতব’, ফলাফলের ট্রেন্ড দেখেই কর্মীদের চাঙ্গা করার বার্তা মমতার]
গত ফেব্রুয়ারি থেকে ক্রমেই বেড়েছে বিজেপির প্রচারের মাত্রা। ভিড় উপচে পড়েছে জনসভা কিংবা রোড শোয়ে। এপ্রসঙ্গ তুলে দিলীপ ঘোষ জানাচ্ছেন, কেন প্রচারের সময় মানুষের কাছ থেকে এমন বিপুল সাড়া পেয়েও ফলাফল আশানুরূপ হল না, সে বিষয়টা আলোচনা করে দেখবেন তাঁরা। তাঁর কথায়, ”কলকাতা ও বেশ কিছু জেলায় ফল খারাপ হয়েছে, পুরো বিষয়টা নিয়েই আমরা পর্যালোচনা করব। ”
অনেক প্রত্যাশা জাগিয়েও তিন অঙ্কে পৌঁছতে না পারা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতির পরিষ্কার উত্তর, ”আত্মসমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বিজেপির যে ইস্যুগুলি ছিল সেগুলিও মানুষের কাছে কতটা পৌঁছেছে সেটাও দেখতে হবে।” তবে বিষণ্ণতার মধ্যেও তাঁর মন্তব্য, ”আমরা বহু আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছি।”