সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্লিন সুইপ। একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ। বাংলার ভোটের ফলাফলের পর ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) ক্ষেত্রে এখন অনেকেই এই কথাটি ব্যবহার করছেন। তবে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, মিমি চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা অন্য টিপ্পনী ব্যবহার করেছেন। আর তাতে তিন তারকার নিশানায় দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ‘বারমুডা’ প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে বিঁধলেন স্বস্তিকা-মিমি। পরমব্রত টুইট করলেন ‘রগড়ে দেব’ মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।
রবিবার বেলা গড়াতেই নির্বাচনের ফলাফল স্পষ্ট হতে থাকে। দুপুরের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জয়ের আভাস মেলে। তাতেই স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় টুইটে প্রথমে লেখেন বাবা সন্তু মুখোপাধ্যায়ের ‘ভবানীপুরের ভাষা’ বড্ড মিস করছেন তিনি। তাঁর ফোন করে বিরোধীপক্ষের লোকজনকে কথা শোনানোও মিস করছেন। সেই কারণে বাবার অনারেই এদিন স্বস্তিকা নিজের টেলিভিশনের আওয়াজ ৯০ ভলিউমে বাড়িয়ে রেখেছিলেন। এর পরেই টুইটে ‘বারমুডা’ প্রসঙ্গ টেনে আনেন স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee)। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলস’ (West Bengal Polls) হ্যাশট্যাগ দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, “আমরা আজকে একটু বারমুডা পরব না? বারমুডা পরব না আমরা?”
[আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশি আর রোহিঙ্গারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় শক্তি, বিতর্কিত টুইট কঙ্গনার]
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ভাঙা পা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁকে ‘বারমুডা’ পরার পরামর্শ দিয়েছেন দিলীপ। সেই প্রসঙ্গে টুইট করে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) লেখেন, “এই যে বলেছিলেন বারমুডার কথা তিনি কোথায়, ও দাদা।”
“নিজেদের মতে নিজেদের গান” তৈরি করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়রা। সংবাদ প্রতিদিন ফেসবুক লাইভে সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, “শিল্পীদের বলছি আপনারা নাচুন, গান। ওটা আপনাদের শোভা পায়। রাজনীতি করতে আসবেন না। ওটা আমাদের ছেড়ে দিন। না হলে রগড়ে দেব।” সেই প্রসঙ্গে টেনে পরমব্রত (Parambrata Chatterjee) লেখেন, “আজ বিশ্ব রগড়ানি দিবস ঘোষিত হোক!” পরে আরও একটি টুইটে লেখেন, “তোমার কোনো কোনো কোনো, কোনো কোনো কোনো কোনো কথা শুনবো না আর , যথেষ্ট বুঝি কিসে ভালো হবে, নিজেদের মতো ভাববো” ‘দিদি ও দিদি’ স্লোগানের আদলে নুসরত জাহান আবার হ্যাশট্যাগে লেখেন ‘দিদি জিও দিদি’ (Didi Jio Didi)। নচিকেতা চক্রবর্তী আবার ফেসবুকে লেখেন, “সদর্পে ওই দলকে জানিয়ে দেওয়া গেল— বাংলাটা এখনও গুজরাট হয়ে যায়নি।”