গৌতম ব্রহ্ম: বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে আরও আধুনিক হচ্ছে রাজ্যের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ। আরও সহজে আগুন নেভাতে এবার অত্যাধুনিক ড্রোন কিনছে দমকল বিভাগ। যাতে গলিঘুঁজি, জনবহুল এলাকায় অগ্নিকাণ্ড ঘটলে পকেট ফায়ার খুঁজতে, আগুনের উৎস খুঁজে বের করতে বিশেষ সাহায্য করবে এই ড্রোন। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ড্রোন কিনছে অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ।
বুধবার নবান্নে ক্যাবিনেট বৈঠকে দমকল বিভাগ নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। একদিকে দমকল বিভাগকে আরও আধুনিক করতে ড্রোন কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তো অন্যদিকে নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি ও জীর্ণ কেন্দ্রগুলিকে সারানো নিয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। জানা গিয়েছে, কালীঘাট মন্দিরের আদলে গড়ে তোলা হবে কালীঘাটের দমকল কেন্দ্রটি। এ প্রসঙ্গে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, “এই দমকল কেন্দ্রের ডিজাইন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখিয়েছিলাম। ওঁর পছন্দ হয়েছে। অর্থদপ্তর ইতিমধ্যে দমকল কেন্দ্র দু’টির পুনর্নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ করেছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ড্রোন কেনা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’, এজলাস বয়কট নিয়ে বিচারপতি মান্থার কাছে দুঃখপ্রকাশ রাজ্যের]
জানা গিয়েছে, ৪টির মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে দমকল বিভাগের হাতে আসবে দুটি ড্রোন। বাকি দুটি কিছুদিন পর হাতে পাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গলিঘুঁজিতে আগুন লাগলে অনেক সময় দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারে না। পকেট ফায়ার খুঁজে পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আবার আগুনের উৎস বোঝা যায় না। কোনও কোনও ক্ষেত্রে বাড়ির ছাদে আগুন লাগলে সেখানে পৌঁছতে পারেন না দমকলের আধিকারিকরা। এবার সেইসমস্ত এলাকায় পৌঁছে যাবে ড্রোন। ফলে আগুন নেভানো আরও সহজ হবে।
রাজ্য়ে চারটি নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরি হবে। একটি তৈরি হবে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর বিধানসভা অঞ্চল লেকটাউনে। অপর তিনটি তৈরি হবে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। এদিকে দক্ষিণ কলকাতার টালিগঞ্জ ও কালীঘাটের দমকল কেন্দ্র দু’টির জীর্ণদশা। এবার সেগুলি সারানো হবে। কালীঘাটের দমকল কেন্দ্রটিকে কালীঘাটের মন্দিরের আদলে তৈরি করা হবে। ইতিমধ্য়ে ডিজাইনাররা সেই নক্সা এঁকে ফেলেছেন। ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও।