গৌতম ব্রহ্ম: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM Awas Yojona) নিয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। তার নিষ্পত্তি করতে মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna)জেলাশাসকদের নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক সারলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন, তা নিয়ে নির্দিষ্ট করে জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব। তাঁরা স্পষ্ট নির্দেশ, পাকা বাড়ি যাঁদের রয়েছে, তাঁরা কোনওভাবেই আবাস যোজনার বাড়ি পাবে না। যদি তাঁদের কারও প্রাপকের তালিকায় উঠে থাকে, তা দ্রুত বাতিল করতে হবে। কোনও প্রভাবশালী তত্ত্ব খাটবে না।
নবান্ন সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা -সহ বেশ কয়েকটি জেলার পারফরম্যান্স ভাল নয়। আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ নানা জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। যেখানে যেখানে এধরনের ঝামেলা হচ্ছে, সেখানে সেখানে জেলাশাসকদের (DM)যেতে হবে। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। এই প্রকল্প ঘিরে আইনশৃঙ্খলা অবনতির কোনও অবনতি যেন না হয়, সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন এইচ কে দ্বিবেদী। জেলাশাসকদের তিনি এও জানান, অশান্তির খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে নবান্নে জানাতে হবে। পাশাপাশি জেলা পুলিশের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে কাজ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘মনে হচ্ছে ভাল কাজ হচ্ছে’, TET নিয়ে সন্তুষ্ট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়]
এদিন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জেলাশাসকদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের যা যা নিয়মকানুন রয়েছে, তা মানতেই হবে। যে উপভোক্তারা বেআইনিভাবে বাড়ি পেয়েছেন, তাঁরা কোনও প্রভাব খাটিয়েছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখে উল্লেখ করতে বলেছেন তিনি। কোথাও কোনও রকম প্রভাব খাটানোর চেষ্টা হলে পুলিশ সুপারকে (SP) যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নবান্নের বৈঠকে মুখ্যসচিবের আরও নির্দেশ, সঠিকভাবে উপভোক্তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি ব্লক অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ এগোতে হবে। কোথায় কোথায় ত্রুটি রয়েছে, তা খুঁজে বের করার কথাও বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের ছায়া, বাবাকে খুনের পর ৩২ টুকরো করে কুয়োয় ফেলল ছেলে!]
আসলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত চলছিল। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার জন্য ৮২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ১১ লক্ষ গ্রামীণ আবাস নির্মাণ হবে সেই টাকায়। তাতে কোনওরকম অস্বচ্ছতা যাতে না থাকে, সেদিকে কড়া নজর রয়েছে কেন্দ্রের। তাই আবাস বণ্টনে বিশেষ পর্যবেক্ষক দল তৈরি করে নবান্ন। আবাস বণ্টনের কাজ নির্ভুলভাবে করতে ২১ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক নিয়োগ করা হয়। যাঁদের মধ্যে রাখা হয়েছে আইএএস পদমর্যাদার ৩ জন অভিজ্ঞ আধিকারিককে।