শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ২৪ ঘণ্টায় জোড়া শুটআউট। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার পর রায়গঞ্জ। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল এক সরকারি কর্মীর। কী কারণে তাঁকে খুন করা হল, তা নিয়ে জারি ধোঁয়াশা। এই ঘটনায় মৃতের কাকা এবং ভাইপোকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
নিহত দীনেশ সাহা (৫৩)। রায়গঞ্জের বীজ নিগমের চর্তুথ শ্রেণির কর্মী। রায়গঞ্জ শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসভা মাঠ এলাকার একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে বাস তাঁর। যদিও শহরের উকিলপাড়ায় পৈতৃক বাড়ি আছে। গত চার মাস আগে মালদহ থেকে বদলি হয়ে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। বুধবার রাতে দোকান থেকে ডিম আর পাউরুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।
[আরও পড়ুন: কেউ হারালেন স্ত্রী, কারও বন্ধুবিয়োগ, বর্ধমান স্টেশনে ট্যাঙ্ক ভেঙে ৩ প্রাণহানির দায় নেবে কে?]
অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঝাঁজরা হয়ে যান ওই সরকারি কর্মী। নিজের ভাড়া বাড়ির সামনের রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। গুলি করে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই সরকারী কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিচিত লোকজনই দীনেশ সাহার বুকে এবং পিঠে পর পর চারটি গুলি চালায়। রায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তন্ময় সরকার বলেন, “দুষ্কৃতীকে দ্রুত চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।” এই ঘটনায় নিহতের কাকা ও ভাইপোকে আটক করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে তাদের।