সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাই কোর্টের নির্দেশের পর হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সর্তক রাজ্য় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তার মধ্য়ে পালিত হচ্ছে হনুমান জয়ন্তী। কলকাতা-সহ রাজ্য়ের বিভিন্ন প্রান্ত টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেমন কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ, তা দেখতে এদিন সকাল সকাল রাস্তায় নেমেছেন খোদ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজ্যপাল। কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গেও।
রাজ্যে ৩ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। কলকাতা শহরের জোড়াবাগান-গার্ডেনরিচ, চারু মার্কেট, একবালপুর, হেস্টিংস-সহ ৬ জায়গায় টহল দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি এলাকায় ১ সেকশন করে বাহিনীর টহল চলছে। এছাড়া, হাওড়া, পোস্তা-সহ একাধিক এলাকায় মোতায়েন হয়েছে বাহিনী। বিভিন্ন প্রান্তের মিছিল হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানও নিরাপত্তা আঁটসাট। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে রুট মার্চ করছে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা।
[আরও পড়ুন: দেশের করোনা গ্রাফে বড় লাফ, ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ৫ হাজারের বেশি]
এদিকে এর মধ্যে বেলা ১০টা নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে সরাসরি লেকটাউনের হনুমান মন্দিরে পৌঁছে যান রাজ্যপাল। সেখানে পুজো দিয়ে বেরিয়ে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার বার্তা দেন তিনি। রাজ্যপালের কথায়, “যুদ্ধ নয় শান্তি চাই। বাংমলা তার সৌভ্রাতৃত্ববোধ, উদারমনস্কতার জন্য় গোটা বিশ্বে পরিচিত। সেই রীতি বজায় থাকুক।”
লেকটাউন থেকে সরাসরি সি ভি আনন্দ বোস পৌঁছে যান একবালপুরে। নজিরবিহীনভাবে সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলেন। হান মেলান। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেন। সেখান থেকে সোজা চলে যান পোস্তায়। নিজে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কতটা নিরাপদবোধ করছে স্থানীয় বাসিন্দারা, তাও জেনে নেন তিনি। এরপর রাস্তার ধারের একটি দোকান থেকে ছাতুর সরবত চেখে দেখেন সি ভি আনন্দ বোস। দোকানিকে সরবতের দাম দিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরপর পোস্তার এক হনুমান মন্দিরে ঢোকেন তিনি। বাংলার রাজ্যপালকে এভাবে পথে নেমে আমজনতার কাছে পৌঁছে যেতে শেষ কবে দেখেছে বঙ্গবাসী, তা মনে করতে পারছেন না।