সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনে ৩ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আগামী মাসেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তির জয়ের ৮০ বছর পূর্ণ হবে। এই বিশেষ কারণে আপাতত লড়াই বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু এই যুদ্ধবিরতি কি আদৌ কার্যকর হবে? এর আগে ইস্টার উপলক্ষে ইউক্রেনে ২৪ ঘণ্টা সমস্ত সামরিক অভিযান বন্ধের ঘোষণা করেছিলেন পুতিন। কিন্তু উৎসবেও তিনি নিজের কথা রাখেননি। রাতভোর নানাভাবে ইউক্রেনে আঘাত হানার চেষ্টা করেছে রুশ ফৌজ। এমনটাই অভিযোগ ছিল ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। ফলে এবারেও সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
রয়টার্স সূত্রে খবর, আজ ক্রেমলিনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, 'আগামী ৮ মে থেকে ১০ মে ৭২ ঘণ্টা সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে রাশিয়া। আমরা আশা করছি, ইউক্রেনও এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবে।' প্রসঙ্গত, ইস্টারের আগে পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, "মানবিক কারণে শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটা (মস্কোর সময় সন্ধ্যা ৬টা) থেকে রোববার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাত পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষে ইস্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হল। এই সময়ে রাশিয়া যাবতীয় সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।” ২৪ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে রাশিয়ার সেনাপ্রধান ভ্যালারি গেরাসিমভকে নির্দেশও দিয়েছিলেন পুতিন।
কিন্তু ইস্টারের দিনই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগ করেন, “ইস্টারে রাশিয়ার সেনাবাহিনী শুধুমাত্র যুদ্ধবিরতির ধারণা তৈরি করার চেষ্টা করছে। ওরা ইউক্রেনের অগ্রগতি রোখা আর এবং ক্ষতিসাধনের প্রচেষ্টা থেকে সরে আসেনি। রাতভর রুশ সেনা ফ্রন্টলাইনে হামলার চেষ্টা করছে।” শান্তিচুক্তি নিয়ে আমেরিকা আলোচনার উদ্যোগ নিলেও ইউক্রেনে হামলা জারি রেখেছে মস্কো। দু'দিন আগেই কিয়েভে ভয়ংকর মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। প্রাণ হারিয়েছে ৯ জন। আহত ৬৩। এই তালিকায় রয়েছে শিশুরাও।
প্রসঙ্গত, তিনবছর ধরে ভয়ংকর যুদ্ধ চলছে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে। একে অপরকে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে দুই দেশ। এই সংঘাতের শুরুটা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ক্রাইমিয়া দখল করে রুশ ফৌজ। এই ভূখণ্ডকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবেই দাবি করে কিয়েভ। নতুন খবর হল, এই ক্রাইমিয়াকেই রাশিয়ার অংশ হিসাবে মান্যতা দিতে পারে আমেরিকা! জল্পনা, এই পদ্ধতিতেই হয়তো যুদ্ধ থামানোর ‘শেষ’ চেষ্টা করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে এই সংবাদ প্রকাশ্যে আসতেই রক্তচাপ বেড়েছে ইউক্রেনের। তারাও একচুল জমি মস্কোর হাতে তুলে দিতে রাজি নয়। দু'দিন আগেই কিয়েভে ভয়ংকর মিসাইল হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা।
