সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নবান্ন-রাজভবন সম্পর্ক মোটেও ভাল না। কোনও না কোনও ইস্যুতে সংঘাত লেগেই থাকে। এবার সেই সংঘাতের তালিকা জুড়েছে গড়িয়া মহাশ্মশানের ভাইরাল ভিডিও। এই ঘটনা প্রসঙ্গে ফের টুইটে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা রাজ্যপালের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন তিনি। যদিও রাজ্যপালের টুইটের পালটা জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর।
গত বুধবার এনআরএস হাসপাতাল থেকে ১৪টি দাবিদাওয়াহীন দেহ দাহ করতে গড়িয়া শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে করোনায় মৃতদেহ দেহ বলে গুজব রটে যায়। তাই সৎকার করা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ছোট্ট ক্লিপিংসে দেখা যায় একটি প্রায় পচাগলা দেহ লোহার রড দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। ওই ভিডিও নিয়ে চলছে জোর তরজা। তবে দেহগুলি করোনা রোগীর নয় বলে আগেই জানিয়েছে কলকাতা পুরসভা। তা সত্ত্বেও এই ভিডিও সম্পর্কে শনিবার পুর কমিশনারের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। প্রায় ২ ঘণ্টা আলোচনার পর মোট তিনটি টুইট করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: আনলক ওয়ানে যাত্রী ভোগান্তি কমাতে কলকাতায় ট্রাম চালানোর ভাবনা, কবে থেকে মিলবে পরিষেবা?]
হাসপাতাল থেকে ওই ১৪টি দেহ গড়িয়া শ্মশানে নিয়ে আসা পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য পুর কমিশনার তাঁকে দিয়েছেন বলেই প্রথম টুইটে উল্লেখ করেন ধনকড়। যাঁরা এই অমানবিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন বলেই টুইটে উল্লেখও করেন তিনি।
তবে দ্বিতীয় টুইটে একইভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন ধনকড়। যেভাবে মৃতদেহগুলি টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা বর্বরোচিত, অশোভনীয় বলেই উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। এমন ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানান। তৃতীয় টুইটে কলকাতার প্রশাসক তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে তোপ দাগেন রাজ্যপাল। দাবি, ফিরহাদ হাকিম তাঁকে ভুলে গিয়েছেন। পুর কমিশনারের মাধ্যমে ফিরহাদ হাকিমকে দেখা করার অনুরোধও জানিয়েছেন ধনকড়।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহেই ডেঙ্গুর আতঙ্ক, নমুনা পরীক্ষার জন্য বাড়তি পরিকাঠামোর ব্যবস্থা রাজ্যের]
কড়া ভাষায় রাজ্যপালের টুইটের পালটা জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্রদপ্তর। ওই ১৪টি দেহ যে কোনও করোনা রোগীর নয়, তা উল্লেখ করা টুইটে। স্বরাষ্ট্রদপ্তরের তরফে আরও লেখা হয়, “পশ্চিমবঙ্গ সরকার মৃতদেহের মর্যাদা করতে জানে। তাই করোনায় মৃতদের দেহও দেখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। গড়িয়ার দেহগুলির সঙ্গে করোনার কোনও যোগ নেই। বারবার সেকথা জানাবো হয়েছে। তা সত্ত্বেও সরকারকে কলুষিত করতে বারবার টুইট করছেন রাজ্যপাল। তাতে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে।” যদিও রাজ্যপালকে সরাসরি স্বরাষ্ট্র দপ্তরের জবাব দেওয়ার যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের।
The post ‘বাংলার সরকারকে কলুষিত করছেন’, গড়িয়া শ্মশান ইস্যুতে ধনকড়কে পালটা জবাব স্বরাষ্ট্রদপ্তরের appeared first on Sangbad Pratidin.