সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়। এবার রাজ্যের স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুহৃতা পালকে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শোনা যাচ্ছে, ইউজিসির (UGC) নিয়ম মেনে নিয়োগ হয়নি, এই যুক্তিতে রাজ্য স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানো হচ্ছে।
এর আগে স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম নিয়ে বার তিনেক চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শেষ চিঠি পাঠানো হয়েছিল গত সোমবার। নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরেও কেন পদ আগলে বসে রয়েছেন উপাচার্য? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল রাজভবনের পাঠানো চিঠিতে। চিঠিপ্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উপাচার্য সুহৃতা পালের (Suhrita Pal) থেকে কৈফিয়তও তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যদিও সেই চিঠির জবাব দেননি উপাচার্য। উলটে তিনি আইনি পদক্ষেপের ভাবনাচিন্তা করছিলেন বলে শোনা যাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: ‘এনডিএ জোটের নামে অহংকারী ‘I’ জুড়েই I.N.D.I.A’, বিরোধীদের আক্রমণ মোদির]
উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে বিগত কয়েকদিন ধরেই জোর চর্চা চলছে। উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে চিঠি লিখে একগুচ্ছ অভিযোগ জানিয়েছিল চিকিৎসক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তুমুল অরাজকতার অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী তাঁর নিয়োগের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। শেষমেশ তাঁকে সরিয়েই দেওয়া হল।
[আরও পড়ুন: ‘লুট কি দুকান, ঝুট কা বাজার’, লোকসভায় রাহুলকে জবাব মোদির]
অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও রাজ্য সরকারের নিয়োগ করা একাধিক উপাচার্যকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এমনকী, আলাদা করে নিজের মতো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উপাচার্য নিয়োগও করেছেন। যা নিয়ে চরমে উঠেছে সংঘাত। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) তাঁর ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। সুহৃতা পালের অপসারণ রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জায়গাটা আরও বাড়াল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।