রাহুল রায়: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ (DA) দেওয়া নিয়ে নয়া জটিলতা। হাই কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাল রাজ্য সরকার। শুক্রবার রাজ্য এ নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে রিভিউ পিটিশন (Review Petition) দায়ের করল। আর তাতেই সরকারি কর্মীদের সংশয় ফের বাড়ল। মামলার পরবর্তী শুনানি কবে, তা এখনও জানা যায়নি।
ডিএ মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) দেওয়া ২০ মে’র রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ফের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। আগের রায়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে।
ফের ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। গত ২০ মে মহার্ঘভাতা মামলা রায় ঘোষণা করে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ডিভিশন বেঞ্চ। বলা হয়, ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ’র হিসেবনিকেশ করে আদালতের রায় কার্যকর করবে রাজ্য। অর্থাৎ তিনমাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘভাতা দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত, প্রত্যেকে জেলে যাবে’, অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পর তোপ দিলীপ ঘোষের]
গত ২৬ জুলাই, ২০১৯ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT) মহার্ঘভাতা সংক্রান্ত রায় বহাল রাখে হাই কোর্ট। ডিএ প্রাপ্তি কর্মীদের আইনসঙ্গত অধিকার বলে উল্লেখ করে মে মাসের হাই কোর্টের রায়ে বলা হয় –
- রাজ্য সরকার অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইজ ইনডেক্স ধরে ডিএ নিয়ে নীতি রূপায়ন করবে ৩ মাসের মধ্যে।
- ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ নির্ধারণ করে কার্যকর করবে রাজ্য।
বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে স্যাটে ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। আবেদনে বলা ছিল, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৩৪ শতাংশ হারে ডিএ পান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার মাঝে ডিএ বাড়ালেও এখনও কেন্দ্রের তুলনায় রাজ্যের কর্মীরা ৩১ শতাংশ কম পান। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে SAT-এর রায়ই বহাল রাখে হাই কোর্ট। কিন্তু সেই রায়ের পর তিনমাস শেষ হতে চলেছে। আর শেষ ধাপে এসেই রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন দায়ের করল।