নব্যেন্দু হাজরা: ছাত্র সমাজের ডাকে ২৭ তারিখ নবান্ন অভিযান। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার ফের উত্তাল হবে কলকাতা। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, এই মিছিলের আড়ালে বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক কষা হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই নবান্ন অভিযানের দিন কার্যত 'দুর্গে' পরিণত করা হচ্ছে নবান্ন এবং তার চারপাশের এলাকাকে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। ইতিমধ্যে এলাকা পরিদর্শন শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই দিন নবান্ন ও ওই চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ২১ জন আইজি এবং ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। থাকছেন ১৩ জন এসপি ও ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। এডিসিপি বা এসিপি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন ১৫ জন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২২ জন এসি/ ডেপুটি এসপি পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকও। এছাড়া ২৬ জন ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার-সহ দুই হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে সূত্রের খবর। আজ অর্থাৎ শনিবার থেকেই উচ্চপদস্থ কর্তারা এলাকা পরিদর্শন করতে শুরু করেছেন। বিশেষত নবান্নের আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করছেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: হাওড়ায় মনুয়াকাণ্ডের ছায়া, প্রেমিকের পরামর্শে ভুল ওষুধ খাইয়ে অসুস্থ স্বামীকে খুন!]
গোয়েন্দা পুলিশের শীর্ষস্তরের এক সূত্র জানাচ্ছে, আর জি কর (RG Kar) ইস্যুতে আগামী ২৭ আগস্ট ছাত্র সমাজের নাম করে ডাকা নবান্ন অভিযানের দিন বড়সড় অশান্তি পাকানোর ছক করা হয়েছে। ঘষেমেজে এই পরিকল্পনাকে নিখুঁত রূপ দিতে মাঠে নেমেছে বিরোধী পক্ষ। ছাত্র সমাজের নামে এই আন্দোলনের পিছনে রয়েছে, বিজেপি (BJP) তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। বামেদের একাংশও যোগ দিতে পারে গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচিতে। বামেদের বিভিন্ন ফেসবুক পেজ থেকে শুরু করে এবিভিপি ও আরএসএসের ছদ্মনামের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হচ্ছে এই কর্মসূচির। ওই আন্দোলন থেকে যাতে অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা না ঘটে তাই বিশাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।