ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: বিপন্নতা কাটিয়ে যে ফের ঘরে ফিরতে পারবেন, আশাই করেননি তাঁরা। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সোমরার রাতে যখন হাওড়া স্টেশনে পা রাখলেন, তখন অনেকের চোখেই জল। কেরল থেকে ফিরলেন কমপক্ষে হাজার দুয়েক বাঙালি। তাঁদের ঘরে ফেরার সাক্ষী থাকলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
[ আবুধাবিতে রহস্যমৃত্যু যুবকের, ১৪ দিন পর দেহ পৌঁছল তেহট্টের বাড়িতে]
সোমবার রাত বারোটা নাগাদ তিরুবনন্তপূরম থেকে একটি বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছয় হাওড়া স্টেশনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্টেশনে হাজির ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সত্যি কথা বলতে, পরম মমতায় ঘরে ফেরা বাঙালিদের তিনিই ট্রেন থেকে নামান। হাওড়া স্টেশনে বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল সরকারি বাস। কারও বাড়ি মেদিনীপুরে, কেউ আবার থাকেন বাঁকুড়া বা পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে। সকলেই বাসে চাপিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছে পরিবহণ দপ্তর।
রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, বন্যায় আটকে পড়া বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে পরপর তিন দিনে ট্রেন যাবে কেরলে। মঙ্গলবার রাতের ট্রেনটি শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়বে। তবে সেই ট্রেন কবে বা কখন হাওড়ায় ফিরবে, তা এখনও জানানো হয়নি। এদিকে সোমবার রাতের মতো দুর্গতদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার রাতে হাওড়া স্টেশনে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু সরকারই নয়, কেরল থেকে বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে ‘কলকাতা মালয়ালম সমাজম’ নামে এক সংগঠন। অর্থ সংগ্রহের পাশাপাশি সংগঠনের সদস্যরা কেরলের বিভিন্ন জেলার ত্রাণ শিবিরে থাকা বাঙালিদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। যাঁরা কেরল থেকে ঘরে ফিরলেন, তাঁরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, জানা নেই। কাজের সন্ধানে ফের কী কেরলে যেতে পারবেন, প্রশ্ন অনেকের মনেই। তবে আপাতত বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি সকলেই।
[ ভুয়ো চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার সিভিক ভলান্টিয়ার]
The post ঘরে ফেরার আনন্দে হাওড়ায় এসে কেঁদে ফেললেন ওঁরা appeared first on Sangbad Pratidin.