সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: শিক্ষা দুর্নীতির পাশাপাশি পুরসভাগুলিতেও নিয়োগ দুর্নীতির ভুরি ভুরি অভিযোগ পেয়ে সেসব নিয়ে সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দ্বারস্থ হল রাজ্য়। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। আজই মামলার শুনানি।
গরু, কয়লা, শিক্ষা দুর্নীতির পর গত ২১ তারিখ পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী প্রয়োজনে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, একথাও জানান তিনি। পাশাপাশি ডিজিপি (DGP) এবং মুখ্যসচিবের প্রতি তাঁর নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। ২৮ এপ্রিল সিবিআইকে তদন্ত সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী, কী বলছে হাওয়া অফিস?]
এর আগে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি (ED), সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে সিবিআই পুর-দুর্নীতি নিয়ে এফআইআরও দায়ের করেছে।
[আরও পড়ুন: সিঙ্গুরে এশিয়ার বৃহত্তম পাইকারি বাজার! প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা]
তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে গেল। আজই শুনানি। তাতে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট হবে, আদৌ পুর-দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতেই থাকবে নাকি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করবে শীর্ষ আদালত? যদি শেষটি হয়ে থাকে, তাহলে এফআইআর দায়েরের পরও সিবিআই আর তদন্তপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে না।