ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পয়লা বৈশাখ হোক পশ্চিমবঙ্গ দিবস। এমনই সুপারিশ পশ্চিমবঙ্গ দিবস কমিটির। এবার শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা।
‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ বিজেপির পছন্দের ২০ জুন পালিত হোক, চায় না রাজ্য সরকার। বিজেপির দেখাদেখি ওই দিনটি পালন করেন রাজ্যপাল নিজেও। চলতি বছর রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) দিনটি পালন করেছেন। রাজভবনের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিধানসভায় প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজ্য। কবে পালিত হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ দিবস, তা ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কমিটি তৈরি করেন। সেই কমিটিতে রয়েছেন সুগত বসুও। কমিটির অন্যান্যরা হলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মন্ত্রী ববি হাকিম, মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী শিউলি সাহা।
[আরও পড়ুন: ২৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা নাবালিকাকে গর্ভপাতের অনুমতি হাই কোর্টের]
আজ এই প্রসঙ্গে বৈঠক হয় বিধানসভায়। সূত্রের খবর, নয়া দিনে রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করতে চায়। প্রথম মিটিংয়ে ১ বৈশাখে দিনটি পালনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ব্রাত্য বসু। আজ তা মেনে নিয়েছেন সুগত বসুও। বলেছেন, “আমার পরামর্শ বাঙালির ঐতিহ্য সংস্কৃতি মাথায় রেখে এই তারিখ নির্ধারণ হোক।” সেই প্রস্তাবের তবে সবটাই মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষ।
‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ নিয়ে ভাগাভাগির রাজনীতির অভিযোগ বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বরাবরের। দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবস হিসাবে ২০ জুন তারিখটিকে বারবার তুলে ধরতে চেয়েছে বিজেপি। ১৯৪৭ সালের এই দিনে মূলত, রাজ্য বিধানসভায় ভোটাভুটির মাধ্যমে অবিভক্ত বাংলাকে ভাগ করার সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে। ইতিহাসবিদদের বড় অংশ মনে করেন ওই দিনটি তাই বাংলার মানুষের কাছে লজ্জার, দুঃখের। শাসকদলও বাংলার মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দিতে চেয়েছে।