মলয় কুণ্ডু: ‘ওমিক্রন’ (Omicron) নিয়ে সতর্ক রাজ্য। ব্রিটেন থেকে সরাসরি কলকাতায় আসা বিমানের ক্ষেত্রে জারি নিষেধাজ্ঞা। আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানাল নবান্ন।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে গত মঙ্গলবার সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি। তার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের স্বার্থে আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করা প্রয়োজন রয়েছে বলেই দাবি করেন তিনি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ব্রিটেনের উড়ান নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য সরকার।
[আরও পড়ুন: চলতি বছরের সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পাচ্ছেন ব্রাত্য বসু]
নবান্নের (Nabanna) তরফ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্রিটেনকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসাবে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র। কারণ, গত ২৪ ঘণ্টায় সে দেশে সংক্রমিত ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ঠিক সে কারণেই ব্রিটেন ফেরত যাত্রীদের নতুন বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে আর বাংলায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। সিদ্ধান্তের কথা ইতিমধ্যেই অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে চিঠি লিখে জানানো হয়েছে। ঝুঁকিবিহীন দেশ থেকে যেসব যাত্রীরা আসবেন, তাঁদের অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করতে হবে। পরীক্ষার খরচ গুনতে হবে যাত্রীকেই। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ১০ শতাংশ যাত্রীর আরটি পিসিআর এবং বাকিদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে হবে। যে সমস্ত যাত্রীরা চাইবেন তাঁরা আগে থেকেই করোনার স্লট বুক করে নিতে পারবেন।
বর্তমানে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে যাচ্ছে। ‘ওমিক্রনে’র থাবায় স্কুল চলবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। তবে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও শিক্ষক কিংবা শিক্ষাকর্মী করোনা আক্রান্ত হলেও স্কুল বন্ধ হবে না। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে ফের কনটেনমেন্ট জোন চালু নিয়ে শুক্রবার বিকেল তিনটেয় পুরভবনে জরুরি বৈঠকে বসছে কলকাতা পুরসভা। পুলিশ কর্তা ও স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিক ছাড়াও থাকবেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। শুধু তাই নয়, ফের শহরজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি স্তরে নানা ক্লাব ও সংস্থার সাহায্য নিয়ে ‘সেফ হোম’ এবং ‘অক্সিজেন পার্লার’ চালুর জন্য উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে পুরসভা।
আগামী ৩ জানুয়ারি থেকে বাগবাজার মাল্টিপারপাস গার্লস, টাউন স্কুল, সারদাপ্রসাদ ইনস্টিটিউশন, বেথুন কলেজিয়েট, টাকি বয়েজ, মর্ডান স্কুল (মল্লিকবাজার), শাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস, জগবন্ধু ইনস্টিটিউশন, চেতলা গার্লস, রাজেন্দ্র শিক্ষায়তন গার্লস, সন্তোষপুর ঋষি অরবিন্দ বালিকা বিদ্যালয়, ভিআইপি নগর হাই স্কুল, সাহাপুর হরেন্দ্রনাথ বিদ্যাপীঠ, বেহালা হাই স্কুল, নুটবিহারী দাস গার্লস হাই স্কুলে ১৫-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হবে।