স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর ছুটি শেষ হয়ে অফিস খুলতেই ফের ছুটির হিসাব শুরু সরকারি অফিসে। সেই চতুর্থী থেকে পুজোর ছুটি শুরু হয়েছিল। ১৮ দিন পর সোমবার খুলল সমস্ত সরকারি দপ্তর। কিন্তু হলে কী হবে! এখনও যে উৎসবের অনেকগুলি দিন বাকি। তাই ফের ছুটির হিসেব-নিকেশ। সকালে নবান্ন (Nabanna) থেকে নবমহাকরণ, খাদ্যভবন থেকে বিধানসভা-সর্বত্রই কর্মীদের সমাগম চোখে পড়েছে। তবে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও পুজোর ছুটি কে কীভাবে কাটালেন, কোন ঠাকুর বেশি ভিড় টেনেছে, ইত্যাদি নিয়েই আলোচনা চলেছে সরকারি কর্মীমহলে। আবার কোথাও কোথাও নভেম্বর মাস জুড়েও যে ১৩টি ছুটি রয়েছে, তা নিয়ে শুরু হয় চর্চা।
সরকারি ক্যালেন্ডার বলছে, আগামী ১২ নভেম্বর কালীপুজো। সে দিন রবিবার। ফলে মন খারাপ ছিল সরকারি কর্মীদের। কিন্তু রাজ্য সরকার কালীপুজোর অতিরিক্ত ছুটি দিয়েছে ১৩ ও ১৪ নভেম্বর। তার পরের দিন ১৫ নভেম্বর ভাইফোঁটার ছুটি। একই দিনে বিরসা মুন্ডার জন্মদিনের ছুটি রয়েছে। তবে দুই ছুটি মিলে গিয়েছিল। তাই ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার অতিরিক্ত ছুটি দিয়েছে নবান্ন। ঘটনাচক্রে, এ বার ছটপুজোও রবিবার পড়েছে। ১৯ নভেম্বর। রাজ্যে ছটেরও অতিরিক্ত ছুটি রয়েছে ২০ নভেম্বর, সোমবারে। সেই হিসাবে ১৮ থেকে ২০ নভেম্বর টানা ছুটি মিলবে। মাসের শেষ ছুটির দিন গুরুনানকের জন্মদিন ২৭ নভেম্বর। সেটাও সোমবার হওয়ায় টানা তিনদিন ছুটির সুযোগ পাবেন অনেকেই। ফলে পুজোর পরেই ফের যদি কেউ টুরে যেতে চান, এবারের মতো সুযোগ তাঁরা আর পাবেন না।
[আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ফলক বিতর্কে এক সুর মমতা-শুভেন্দুর! উপাচার্যকে সংশোধনের পরামর্শ বিরোধী দলনেতার]
সরকার মূলত তিনটি ভাগে ছুটি দেয়। প্রথমত, ১৯৮৮ সালের ‘নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্ট’ (এনআই) অনুযায়ী গোটা দেশেই কিছু ছুটি প্রাপ্য হয় সরকারি কর্মচারীদের। দ্বিতীয়ত, রাজ্য সরকার স্থানীয় উৎসব, পরবের জন্য ছুটি দিতে পারে। তৃতীয়ত, কিছু অতিরিক্তি ছুটি দেওয়ারও সুযোগ থাকে সরকারের হাতেই। সেই মোতাবেক নভেম্বরে ১৩ দিনের ছুটির ব্যবস্থা হয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। যা পেয়ে সরকারি কর্মীমহলে রীতিমতো খুশির হাওয়া।