ধীমান রক্ষিত: আদালতের ছাড়পত্র মিলতেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গতি আনল রাজ্য। উচ্চ প্রাথমিকের ১৪ হাজার ৫২ জন চাকরিপ্রার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী, শূন্যপদের সংখ্যা ১৪,৩৩৯। তবে আদালতের নির্দেশ অনুসারে, এদিন ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তালিকা প্রকাশ হওয়ায় প্রায় ৯ বছরের অপেক্ষার অবসান হল। সূত্রের খবর, পুজোর আগেই এই তালিকা ধরে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শেষ হবে।
চলতি বছরের ২৮ আগস্ট কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ দেয় ১৪ হাজার ৫২ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করতে। ফলে দীর্ঘ ৯ বছরের অপেক্ষার পর ১৪,০৫২ শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে এসএসসি। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আসেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ নিয়োগ সংক্রান্ত সংরক্ষণ নীতির বিরোধী। কয়েকজনের তরফে আদালতে এমন দাবিও করা হয় যে কাট অফ মার্কসের থেকে বেশি নম্বর পেয়েও ইন্টারভিউতে ডাক পাননি তাঁরা।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জানিয়েছে, এখনই হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করছে না শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ না করায় মেধাতালিকা প্রকাশ এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোনর পথে আর কোনও বাধা ছিল না। আইনি বাধা কাটতেই আজ মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মেধাতালিকা প্রকাশ হলে দেখা যায় তাতে রয়েছে ১৪ হাজার ৫২ জনের নাম। কিন্তু সেই বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগে সেই নিয়োগ আটকে যায় মামলা জটে। এর পর ২০২১ সালে এসএসসি জানায় ১ হাজার ৪৬৩ জনকে মেধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই বাদ পড়া পরীক্ষার্থীরা একাধিক মামলা করেন হাই কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়েছিল, ওই ১৪৬৩ জনকে যে প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক ছিল না। হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, বাদ দেওয়া ১ হাজার ৪৬৩ জনকে নিয়ে ১৪ হাজার ৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। শুধু তাই নয়, সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল উচ্চ আদালত। সেই ডেডলাইনের মধ্যেই প্যানেল প্রকাশ করল এসএসসি।