ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: একদিকে হাসপাতালে শয্য়া বাড়ানো অন্যদিকে ভ্য়াকসিন-আসন্ন করোনা (Corona Vaccine) মোকাবিলায় এই দুই অস্ত্রকে কাজে লাগাবে রাজ্য় প্রশাসন। বুধবার এ রাজ্য়ের মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীর সঙ্গে জেলাশাসক, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ও সমস্ত হাসপাতাল কর্তাদের ভারচুয়াল বৈঠক হয়। সেখানে ঠিক হয়েছে করোনা (Coronavirus) কতটা ভয়ানক হবে সেই তথ্য রাজ্য কেন কেন্দ্রের কাছেও নেই। কিন্তু যদি সংক্রমণ হয় তাকে ঠেকাতে কিছু শক্তিশালী অস্ত্রের দরকার ।
আর সেই অস্ত্র হল আরটি পিসিআর কিট, কোভিড শয্য়া ঠিকঠাক রাখা এবং সংক্রমণ হলেও যাতে হাসপাতালে ভরতি হতে না হয় তার জন্য টিকাকরণ। এ জন্য় চাই ভ্যাকসিন। রাজ্যের ২৭০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা আছে টিকাকরণের জন্য। কিন্তু ওইটুকুই সার। টিকা নিতে আগ্রহ নেই আমজনতার।
[আরও পড়ুন: এবার ১০০ দিনের কাজে হাজিরা দিতে হবে অ্যাপের মাধ্যমে, দুর্নীতি রুখতে কড়া দাওয়াই কেন্দ্রের]
এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এক লক্ষ আরটি পিসিআর কিট (RTPCR), সমসংখ্যক RAT বা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট কিট কিনতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানানো হবে। স্বাস্থ্য় অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেছেন, ন্য়াজাল ভ্যাকসিন ৫ লক্ষ, কোভ্যাকসিন ১ লক্ষ আর কোভিশিল্ড ১৫ লক্ষ ডোজ কেন্দ্রের কাছে চাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, বুস্টার ডোজ হিসেবে ন্য়াজাল ভ্যাকসিন ব্য়বহার করা যাবে।
পাশাপাশি, হাসপাতালগুলিকে বলা হয়েছে, কেন্দ্র যেমন মকড্রিল করছে একইসঙ্গে তারাও যেন নিজেদের স্বার্থেই কোভিড শয্যাগুলি তৈরি রাখে। দেখভাল করা হয় পিএসএ মেশিন, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও অক্সিজেন পাইপলাইনের। বিশেষ করে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি থেকে গত দু’বছরে যত অক্সিজেন প্ল্যান্ট বা পিএসএ মেশিন অনুদান হিসেবে পাওয়া গিয়েছে সেগুলি যেন সচল থাকে। অর্থাৎ শত্রু হানা দিক বা না দিক সেনাবাহিনী প্রস্তুত রাখতে হবে।