সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরে নন্দীগ্রামবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার। নন্দীগ্রাম এবং হলদিয়ার সংযোগকারী সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার। শুক্রবার এ কথা ঘোষণা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি জানিয়েছেন, এই সেতুটি তৈরি হয়ে গেলে নন্দীগ্রাম তথা পূর্ব মেদিনীপুরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বদলে যাবে।
শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে কুণাল ঘোষ বলেন, পূর্ব মেদিনীপুরবাসী তথা নন্দীগ্রামবাসীর জন্য বহু কাজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কখনও হাসপাতাল, কখনও তমলুক-দিঘা রেল যোগাযোগ, এমন অসংখ্য কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করে দিয়েছেন। নতুন বছরে আমরা খুব আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন হলদিয়া এবং নন্দীগ্রামের মধ্যে সেতু তৈরি করবে রাজ্য সরকার। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। একটু সময় লাগলেও এতে বিপুল সংখ্যক মানুষের উপকার হবে।
[আরও পড়ুন: ‘কথা রাখেননি মোদি’, মঞ্চে কেন্দ্রের সমালোচনা করতেই থামানো হল পদ্মশ্রী প্রাপককে]
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এই সেতুটি তিনি তৈরি করে দেবেন। গত বছর রাজ্য বাজেটেও এই সেতুর জন্য বরাদ্দ রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই প্রকপ্লের কাজ শুরু হবে। কুণাল ঘোষ এদিন জানিয়েছেন, সেতু চাইছিলেন সেখানের মানুষ৷ বিপুল রাস্তা ঘুরতে হত৷ এবার সেতু হলে মানচিত্র বদলে যাবে। অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে৷ শনিবার নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহীদ বেদীতে অনুষ্ঠান হবে। তার আগেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কুণালের বক্তব্য, ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছিলেন, সেটাই করে দেখালেন।
[আরও পড়ুন: কুকুর মারতে পেশাদার শুটার! বিহারে সরকারি নির্দেশে ২ দিনে মারা হল ৩০টি সারমেয়]
হলদি নদীর (Haldi River) একদিকে নন্দীগ্রাম, অন্য দিকে হলদিয়া। দুই তীরের মানুষের যোগাযোগ ঘনিষ্ঠ। কর্মসূত্রে হোক বা অন্য প্রয়োজনে দুই পাড়ের বাসিন্দা নিয়মিত দু’দিকেই যাতায়াত করেন। কিন্তু দুই পাড়ের যোগাযোগের ভরসা একমাত্র ফেরি পরিষেবা। ফেরিতে অনেক সময় যাত্রী সুরক্ষা মানা হয় না। আর জলপথ না হলে নন্দকুমার দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। তাতে সময় লাগে বেশি। সেতু তৈরি হলে সময় এবং খরচ বাঁচবে বলে জানাচ্ছেন বাসিন্দারা।