দীপঙ্কর মণ্ডল: বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নির্বাচনী ইস্তাহারে বলেছিল, তারা ক্ষমতায় এলে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (Student Credit Card) চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছেন ৩০ জুন থেকে শুরু হবে এই ঐতিহাসিক প্রকল্প। বুধবার নবান্ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এর সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি নির্দেশিকা মোতাবেক ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউপিএসসি, ডাব্লুবিসিএস-সহ রাজ্য ও জাতীয় স্তরের যে কোনও পরীক্ষার কোচিংয়েও এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য কন্যাশ্রী, স্বামী বিবেকানন্দ মেরিটকাম মেন্স, শিক্ষাশ্রীর মত প্রকল্প আছে। এগুলির পাশাপাশি এবার সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু হতে চলেছে। মাধ্যমিক থেকে পোস্ট ডক্টরেট সর্বত্র পর্যন্ত পড়াশোনার বিভিন্ন ধাপে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পাবে পড়ুয়ারা। ফলে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সুবিধা পাবে সকল পড়ুয়ারাই। সন্তানের উচ্চশিক্ষার জন্য ধার করতে হবে না তাঁর মা-বাবাকে। এমনকী, সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা খরচ হয়। ফলে অনেকে সেই পথে হাঁটতে পারেন না। এবার সেই চিন্তা কাটল।
[আরও পড়ুন: কলকাতা পুরসভার ক্যাম্পে টিকা বিভ্রাট! মিলছে না ভ্যাকসিন গ্রাহকদের হিসেব]
মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দপ্তর একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, শুধু প্রথাগত পড়াশোনাই নয়, কেউ আইএএস, আইপিএস, ডব্লিউবিসিএস বা আইআইটি, আইআইএম এর মত প্রতিষ্ঠানে ভরতির জন্য কোচিং নিতে গেলেও স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। দপ্তরের এক কর্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর চান ছাত্র-ছাত্রীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য তাদের বাবা-মাকে যেন আর চিন্তা না করতে হয়। রাজ্য সরকার সবার পাশে থাকবে। স্নাতক-স্নাতকোত্তর, যেকোনও ডিপ্লোমা, ডক্টরেট, পোস্ট ডক্টরেট ইত্যাদি কোর্সের খরচ বহন করবে সরকার। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে। চাকরি পাওয়ার পর ছাত্রছাত্রীরা সুবিধে মতো ইএমআইতে ঋণ শোধ করতে পারবে।