সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্লীলতাহানির অভিযোগে 'ক্লিনচিট' পেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাও আবার রাজভবনেরই তৈরি তদন্ত কমিটির রিপোর্টে! জানা গিয়েছে, রাজভবনের মহিলা কর্মীর তোলা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ভিত্তিতে রাজভবনের তৈরি তদন্ত কমিটি মোট ৮ জন সাক্ষীর বয়ান নিয়েছে। আর তার ভিত্তিতেই অভিযোগ খণ্ডন করা হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক স্তরে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। উঠছে বহু প্রশ্নও। আর আনন্দ বোসকে ক্লিনচিট দেওয়া কমিটিকে কটাক্ষ করে শাসকদল তৃণমূল বলছে, 'এসব আবর্জনা'।
মাস দুই আগে রাজভবনের (Raj Bhawan) এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন হেয়ার স্ট্রিট থানায়। অভিযোগ ছিল, কাজের নামে নিজের ঘরে ডেকে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন সি ভি আনন্দ বোস (C V Anand Bose) তার ভিত্তিতে রাজভবনের কর্মীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য তলব করেছিল পুলিশ। কিন্তু নির্দেশানুসারে সেই তলবে সাড়া দেননি কেউ। এর পর রাজভবনের তরফে অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে যৌন হেনস্তার অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়। সেখানে ৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি জানিয়ে দেয়, ওই মহিলা কর্মীর তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। ক্লিনচিট দেওয়া (Cleanchit) হয় সি ভি আনন্দ বোসকে।
[আরও পড়ুন: জাদুকাঠি ‘ললিপপ’, মুখে দিলেই স্বাদকোরকের সাম্বা নৃত্য! ইতিহাস জানেন? ]
তবে এভাবে তদন্ত কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রোটোকল অনুযায়ী, রাজ্য সরকার এবং আদালতেরই এক্তিয়ার আছে এ ধরনের তদন্ত কমিটি তৈরির। কিন্তু সাংবিধানিক প্রধান হওয়ায় তাঁরও একই অধিকার রয়েছে বলে দাবি রাজ্যপাল আনন্দ বোসের। আর সেই বিশেষ ক্ষমতাবলেই তিনি তদন্ত কমিটি গড়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করিয়েছেন বলে দাবি। অবশ্য রাজভবনের এই তদন্ত রিপোর্টকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ''তদন্ত রিপোর্টের নামে কিছু আবর্জনা প্রকাশ করা হয়েছে। নিগৃহীতা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। আর রাজ্যপাল তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করে বলছেন, আমিই আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করে নিজেকেই ক্লিনচিট দিলাম!”