সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তম দফার ভোটে অশান্তির ধারা বজায় রইল সন্দেশখালিতে। সকাল থেকেই দফায় দফায় ছোট-বড় অশান্তির ঘটনা ঘটে। ঝরে রক্তও। X হ্যান্ডেলে ভোটে হিংসার কথা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এবার রিপোর্ট তলব করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
ভোটের আগে থেকেই শিরোনামে সন্দেশখালি। ভোটের আগের রাত অর্থাৎ শুক্রবার বেড়মজুর এলাকায় কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। এর পর আটকদের ছেড়েও দেওয়া হয়। পরিস্থিতি রাতে স্বাভাবিক হয়। তবে শনিবার সকালে দক্ষিণ খুলনার ১৭৭ নম্বর বুথে রামকৃষ্ণ মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। মাথা ফেটে যায় রামকৃষ্ণের। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ওই তৃণমূল কর্মী বুথ দখল করতে গিয়েছিলেন। তাঁকে বাধা দিতে গিয়েই হামলা।
এর পর বয়রামারিতে শুরু হয় অশান্তি। সেখানে আবার বিজেপি কর্মী চঞ্চল খাটুয়া আক্রান্ত হন বলেই খবর। অভিযোগ, বুথ দখল করতে এসেছিলেন চঞ্চল। তাঁকে বাধা দিতে বাঁশ, লাঠি হাতে হামলা বলেই দাবি শাসক শিবিরের। এর পর বয়রামারিতে শুরু হয় পথ অবরোধ। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। দুজন তৃণমূল কর্মী জখম হন বলেও খবর। এলাকায় গুলি চলে বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের।
[আরও পড়ুন: কেজরির গ্রেপ্তারি মাস্টারস্ট্রোক! এক্সিট পোলে দিল্লিতে শূন্য হওয়ার পথে আপ, হাসছে বিজেপি]
আবার বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের দাবি, দলীয় কর্মীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের খবর পান তিনি। দৌড়ে যান রাজবাড়ি এলাকায়। সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। উর্দি খুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিজেপি প্রার্থী। এই ঘটনাতেও গেরুয়া শিবিরের বেশ কয়েকজন জখম হন বলেই খবর। তাঁদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান রেখা। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে চিকিৎসককে ধমকও দেন তিনি।
তবে শুধু দুই দলের কর্মী-সমর্থকরাই নন, সন্দেশখালির বেড়মজুরে এক পুলিশকর্মী জখম হন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয় বলেই অভিযোগ। মাথাও ফেটে গিয়েছে তাঁর। বলে রাখা ভালো, সন্দেশখালিতে দিনভর ঠিক কী কী হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থাই বা নেওয়া হয়েছে। তা জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করে কমিশন। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সন্দেশখালি কাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল বোস।