সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। আরও একবার রাজ্যকে কড়া ভাষায় বিঁধলেন তিনি। রাজ্যপাল হওয়া সত্ত্বেও মাথা নিচু করে বাস করছেন বলেই দাবি তাঁর। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালকে পালটা জবাব দিয়েছে তৃণমূল। রাজ্যপালের মন্তব্য সমর্থনযোগ্য নয় বলে দাবি কংগ্রেসের।
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করে রাজ্যপাল বলেন, “এ রাজ্যের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ংকর। রাজ্যপাল হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যে মাথা নিচু করে বাস করছি। রাজ্য এখন সাংবিধানিক দিক থেকে ত্রিশঙ্কু অবস্থায় পরিণত হয়েছে। কলকাতা আর সিটি অফ জয় নেই। কলকাতা এখন সিটি অফ রিটায়ার্ড। এ রাজ্যে প্রতিভা, পেশাদারিত্ব আছে। তারা আরও ভাল সুযোগ পেয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। পেশাদাররা এ রাজ্যে চাকরি পাচ্ছেন না। রাজ্যের শেষ অবস্থা চলছে। আমি ব্যথিত।”
[আরও পড়ুন: প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে বোরখা পরে গার্লস হস্টেলে যুবক! কপালে জুটল বেধড়ক মার]
রাজ্যপালের মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। ধনকড়ের মন্তব্যের তীব্র নিন্দায় সরব তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল পদকে সম্মান করি। কিন্তু কেউ রাজ্যকে অপমান করবে, তা মেনে নেওয়া যাবে না। বাংলার সরকার ভাল কাজ করছে বলে কেন্দ্রের থেকে একাধিক পুরস্কার পাচ্ছে। হয় রাজ্যপাল তা জানেন না আর নাহলে মিথ্যে বলছেন। রাজ্যের এক জায়গায় শুধুমাত্র অবনতি হয়েছে। তা হল রাজ্যপাল পদের। কারণ, ওই পদটির মান কমে গিয়েছে। রাজ্যপালের স্পন্ডিলোসিসের সমস্যা রয়েছে। তাই মাথা নিচু করে রয়েছেন।” বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য রাজ্যপালের মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তাঁর মতে, রাজ্যের অবস্থা যা দেখছেন রাজ্যপাল, তিনি তাই বলেছেন। তবে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী রাজ্যপালের মন্তব্যকে সমর্থন করতে নারাজ। তাঁর কথায়, রাজ্যপাল এ রাজ্যের অপমান করছেন। তা মেনে নেওয়া যায় না।
রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছেন জগদীপ ধনকড়। কখনও শিক্ষাক্ষেত্র আবার কখনও প্রশাসনিক দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সুরও চড়িয়েছেন। সম্প্রতি সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ সংক্রান্ত বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। তার ফলে ক্ষমতা খর্ব হয়েছে রাজ্যপালের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের এহেন মন্তব্য যে রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।