সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নভেম্বর মাসজুড়ে পাহাড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যপাল। রবিবারই দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) পৌঁছনোর কথা তাঁর। তার আগে শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে ফের রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব জগদীপ ধনকড়। এবার উত্তরবঙ্গে জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে একহাত নিলেন তিনি। ”আগুন নিয়ে খেলবেন না” বলেও চরম হুঁশিয়ারি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের।
এদিন তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক আধিকারিকরা রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে। আমার কাছে রিপোর্ট এসেছে। রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবেন না। আপনাদের বয়স কম আগুন নিয়ে খেলবেন না। আইন আপনাকে ছাড়বে না। রাজনীতিতে কে হারল, কে জিতল পাত্তা দিই না। যা করছি সেটা আমার কাজ।” দিল্লিতে অমিত শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। রবিবার আবারও সেই একই আশঙ্কার কথাই শোনালেন তিনি। রাজ্যে নারী নিগ্রহের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। কেন সঠিক বিচার হচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বারবারই প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধনকড়। দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন তিনি। দিনকয়েক আগে রাজ্য পুলিশের ডিজির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে এই প্রথমবার উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে সরব হলেন জগদীপ ধনকড়।
[আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, বর্ষা বিদায়ের পরেও রাজ্যে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস]
রবিবার করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলেও অভিযোগ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন, “কোভিড প্রমাণ করেছে বাংলার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। কোনও রাজ্য একা কাজ করতে পারে না। সংকটের সময় আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত ছিল। দূরদর্শিতার অভাবে রাজ্যবাসীকে ভুগতে হবে।” কেন্দ্রের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বিরোধিতা করে রাজ্য কার্যত ‘ভুল’ করছে বলেও দাবি তাঁর। এ প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, “কেন্দ্রের জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের বিরোধিতা রাজ্যের। এই মনোভাবে কৃষকদের ভুগতে হচ্ছে। কোনও কৃষক এক পয়সাও পাননি। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানাই। ২০ মাস পর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে টাকা পাঠাতে বলেন। সব রাজ্যে সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা গিয়েছে। এ রাজ্যে কেন মাঝে কাউকে লাগবে? ” রাজ্যপালের পাহাড়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছেই। শিলিগুড়ি থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে করা অভিযোগে নবান্ন-রাজভবন সম্পর্কের ফাটল যে আরও খানিকটা চড়াও হল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।