অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: জিটিএ নির্বাচনের (GTA Election) বিরোধিতায় অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন পাহাড়ের একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। হয়ে পড়ছেন নিঃসঙ্গও। এবার তাঁর জেদ ভাঙিয়ে মধ্যস্থতা করতে শনিবার দার্জিলিংয়ের সিংমারিতে গুরুংয়ের অনশন মঞ্চে রাজ্যের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির হলেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। শনিবার দুপুরে তিনি রাজ্যের প্রতিনিধি হয়েই দেখা করতে যান। গুরুংকে অনশন তুলে নেওয়ার আরজি জানান।
পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হয়ে গেলেই মোর্চা নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসবে রাজ্য সরকার, এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে গুরুংকে। কথাবার্তা বলার পর বুলুচিক বড়াইক বলেন, “আমি গুরুংকে বললাম, নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে, তাই এখন আলোচনা সম্ভব নয়। তবে নির্বাচন শেষ হলেই আলোচনা করা যাবে। কারণ যে কোনও সমস্যার সমাধানে আলোচনাই একমাত্র পথ।”
১০ বছর পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হচ্ছে আগামী জুন মাসে। নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার পর প্রতিবাদে বুধবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন বিমল গুরুং। কিন্তু তিনি সুগার ও উচ্চরক্তচাপের রোগী। না খেয়ে থাকায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে প্রতিদিন। এদিকে, তাঁর দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি অনশন ভাঙতেও চান না। তাই এদিন গুরুংয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। তিনি গিয়ে এদিন প্রথমে মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরির সঙ্গে কথা বলেন। তারপর তাঁকে সঙ্গে নিয়েই অনশন মঞ্চে হাজির হন। সেখানে বিমলের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি তাঁর শরীরের খবর নেন। দেখা করেন বিমলের স্ত্রী আশা গুরুং এর সঙ্গেও।
[আরও পড়ুন: ফলের ঝুড়ির বালি সরাতেই পর্দাফাঁস, খাস কলকাতায় ফের উদ্ধার বোমা]
পরে সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, “আমার সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক বিমল গুরুংয়ের। তাই আমি দেখা করতে এসেছি। কারণ গোর্খা জাতির জন্য বিমল গুরুং প্রচুর কাজ করেছেন। তাকে ছাড়া গোর্খা জাতি ভাবাই যায়না। তাই তাকে অনুরোধ করলাম গোর্খাদের কথা মাথায় রেখেই অনশন তুলে নিক। আর যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু এখন নির্বাচনী বিধি লাগু রয়েছে তাই নির্বাচনের শেষেই আলোচনা করা যাবে। তবে ওঁর সঙ্গে আমার যা কথা হয়েছে তা আমি কলকাতায় জানিয়ে দেব।”
[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল করলে ঠিকাদারি করা যাবে না’, হলদিয়ায় ‘ঘুঘুর বাসা’ ভাঙার হুঁশিয়ারি অভিষেকের]
অন্যদিকে, মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও মন্ত্রীর কথায় তাল মিলিয়ে বলেন, “এটা ঠিক নির্বাচনী বিধি চালু হয়ে গেলে আলোচনা করা যায় না। আমরাও সভাপতিকে বোঝাচ্ছি তিনি যাতে অনশন তুলে নেন। কারণ গোর্খা জাতির স্বার্থে তাকে লাগবেই।”