গোবিন্দ রায়: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নতুন নয়। শাসকদলের বিরুদ্ধে বারবার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এবার সামনে এল আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। বুথে ভোটারের সংখ্যার তুলনায় বেশি সংখ্যক ভোটে জয়ী হয়েছেন তিন তৃণমূল প্রার্থী। বুধবার এই মর্মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে দায়ের মামলা। এই মামলা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
মামলাকারীদের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের তিনটি বুথে ১০০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথ, দিঘরা মালিকবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮৩ নম্বর বুথ এবং ৬৮ নম্বর বুথ। প্রতিটি বুথে ভোট পড়েছে মোট ভোটারের সংখ্যার চেয়ে ১০০ শতাংশের অনেকটা বেশি। এই মামলায় বুধবার বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, “ভোটার না থাকলে এত ভোট দিলেন কারা?” তিনি হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে এ বিষয়ে রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। আগামী ৪ আগস্ট আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ আগস্ট।
[আরও পড়ুন: ১০ বছর পরেও FIR করা যাবে না? শুভেন্দুর ‘রক্ষাকবচ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালতই]
এদিকে, ভোটে জয়ের পরেও সার্টিফিকেট না দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর ব্লক কালিকাপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী। ১৬টি আসনবিশিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ আসনে জয়ী সিপিএম। ছ’জনকে সার্টিফিকেট না দিয়ে মারধর করা হয় বলেই অভিযোগ। বিধায়ক লাভলি মৈত্রর উপস্থিতিতে এই কাজ হয়েছে বলেই অভিযোগ। স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্তের আরজি মামলাকারীর। কমিশনকে রিপোর্ট জমার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।