সুদীপ রায়চৌধুরী: জোর করে বিরোধীদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার করানো হচ্ছে! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে লাগাতার এধরনের অভিযোগ ওঠে। এবার এই অভিযোগ খারিজ করতে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। জানানো হয়েছে, প্রত্যাহারের সময় সশরীরে হাজির থাকতে হবে প্রার্থীকে। নয়তো তাঁর প্রোপোজার অথবা নির্বাচনী এজেন্টকে গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হবে। সোমবারই চিঠি দিয়ে জেলাশাসকদের নয়া গাইডলাইন জানিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে তাঁদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে বসেছে কমিশন।
কমিশনের ঠিক করে দেওয়া দিনক্ষণ অনুযায়ী, ১৫ জুন পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা করা যাবে। প্রত্যাহার করা যাবে ২০ জুন পর্যন্ত। সাধারণত বিরোধীরা অভিযোগ করেন, অনেকক্ষেত্রেই শাসকদল বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য করে। সেক্ষেত্রে কমিশনও কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না। এবার সেই অভিযোগ সমূলে উৎপাট করতেই নয়া নিয়ম আনাল কমিশন।
[আরও পড়ুন: কোনও ভারতীয় সাংবাদিকের ঠাঁই হবে না চিনে! একমাসের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ]
প্রসঙ্গত, বঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজতেই জেলায়-জেলায় অশান্তি মাথাচারা দিয়েছে। রক্ত ঝরছে জেলায়-জেলায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল উঠছে শাসকদল তৃণমূলের দিকে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যেখানে মনোনয়নপত্র জমা হচ্ছে, তার ১ কিলোমিটার চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তারপরেও অশান্তি চলছে। যা দেখে বিরোধীদের আশঙ্কা, পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য় করতে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।