চন্দ্রজিৎ মজুমদার ও বিধান নস্কর: গ্রামেরই মহিলাকে দৃষ্টিহীন সাজিয়ে বুথে নিয়ে গিয়ে জোর করে ভোটদানের অভিযোগ। পুনর্নির্বাচনেও ছাপ্পা ভোটের (Panchayat Poll) অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের সালারের প্রসাদপুর গ্রামে উত্তেজনা।
সালারের প্রসাদপুর গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, সোমবার সকাল থেকেই ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর তার জেরে পুনর্নির্বাচনের দিন বুথমুখী হতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। ঘড়ির কাঁটা সাড়ে এগারোটা পেরিয়ে গেলেও হাতেগোনা কয়েকজন ভোটারকে দেখা যায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে। রবিবার রাত থেকেই শাসকদল গ্রামের প্রতি পাড়ায় পাড়ায় ও বাড়িতে বাড়িতে হুমকি ও ভাঙচুর চালিয়েছে। তৃণমূলকে ভোট না দিলে খুন করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: মামলা লড়ার টাকা নেই, অন্তর্বর্তী জামিন চেয়ে সুকন্যার আবেদনের রায় দিল না আদালত]
গ্রামবাসীদের দাবি, গ্রামেরই মহিলাকে দৃষ্টিহীন সাজিয়ে বুথে নিয়ে গিয়ে জোর করে ভোটদানের অভিযোগ। তাঁদের দাবি, হাই কোর্টের নির্দেশিকাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বুথের ভিতর রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার। আর সেই বুথেই চলছে দেদার ‘ছাপ্পা’। মুর্শিদাবাদের সালারের এই ঘটনায় নির্বাচনেও এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে প্রসাদপুর গ্রামে।
এদিকে, জ্যাংড়ায় ভুয়ো ভোটারকে হাতেনাতে পাকড়াও করল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটার স্লিপে একরকমের নাম। আর পরিচয়পত্রে অন্য নাম। তার জেরে সন্দেহ হয়। ২৬৬-২৬৭ নম্বর বুথে ভোট দিতে যাওয়ার সময় হাতেনাতে চার ভুয়ো ভোটারকে পাকড়াও করা হয়। উল্লেখ্য, এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনেও অশান্তি হয়। গুলিও চলে।
দেখুন ভিডিও: