রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিকেলের চা চক্রে মহল্লায় মহল্লায় মোদির ভাষণ। চায়ের ভাঁড়ে চুমুক দিতে দিতেই আমজনতা শুনবে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা। কাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এভাবেই কলকাতাকে ‘মোদিময়’ করে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। শহিদ মিনার ময়দান (Monument) থেকে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। কোভিড বিধি মেনে প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থলে ৫০০ জন শ্রোতা থাকবে। বাকি জায়গায় এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে পৌঁছে দেওয়া হবে মোদির ভাষণ।
২৩ এপ্রিল শহরের পাড়ায় পাড়ায় বসানো হচ্ছে এলইডি স্ক্রিন। অলিগলি থেকে বস্তি এলাকায় কার্যত ঘরের দুয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে হাজির করানো হবে। সঙ্গে চলবে ‘চায়ে পে চর্চা’ও। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীর মূল সভাস্থলে পাঁচশোজন আমন্ত্রিতের মধ্যে একটা বড় অংশ সমাজের বিশিষ্টজন এবং মহিলারা। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর।
[আরও পড়ুন : ‘ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১০০ কোটির তহবিল’, করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা মমতার]
আর তিনদিন পরই কলকাতার ভোট। কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী, বালিগঞ্জ, চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, শ্যামপুকুর, মানিকতলা ও কাশীপুর-বেলগাছিয়া। কলকাতার এই কেন্দ্রগুলির মধ্যে কলকাতা বন্দর, ভবানীপুর, রাসবিহারী ও বালিগঞ্জের ভোট রয়েছে ২৬ এপ্রিল। আর ২৯ এপ্রিল ভোট রয়েছে চৌরঙ্গি, এন্টালি, বেলেঘাটা, জোড়াসাঁকো, মানিকতলা, কাশীপুর-বেলগাছিয়া ও শ্যামপুকুর কেন্দ্রে। কলকাতার এই ১১টি কেন্দ্রেই বিশেষ নজর দিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা ছিল ভবানীপুর কেন্দ্রের সুভাষ উদ্যানে। সেই সভাটি হচ্ছে শহিদ মিনার ময়দানে। করোনা পরিস্থিতির জেরে ২২ ও ২৪ এপ্রিলের বদলে ২৩ এপ্রিল একদিনেই চারটি সভা হচ্ছে মোদির। মালদহ, বহরমপুর, সিউড়ি ও কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে সভাগুলি হবে।
এই চার জায়গাতেই সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। জনসভায় প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে। সভাস্থলে ৫০০ জন থাকবেন শ্রোতা। প্রত্যেকের প্রবেশ আমন্ত্রণমূলক। কোভিড বিধি মেনে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর শহিদ মিনার থেকে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা কলকাতার প্রতিটি বুথের প্রতিটা বাড়িতে পৌঁছে দিতে চায় বঙ্গ বিজেপি। সেজন্য প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীরা আবেদন করছেন মোবাইলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখার জন্য।
[আরও পড়ুন : শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব নয়, তৃণমূলের দাবি নাকচ কমিশনের]
গোটা কলকাতা জুড়ে তিনশোটির বেশি এলইডি স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। যেগুলি বাজারে, পাড়ায় পাড়ায় কিংবা বস্তি এলাকায় থাকবে। আবার রকের আড্ডায়ও মোদির কথা শোনানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন চায়ের দোকানের সামনে যেখানে বিকেলের আড্ডা জমে সেখানেও বসানো হবে এই এলইডি স্ক্রিন। তবে সর্বত্রই সামাজিক দূরত্ব মেনে যাতে আমজনতা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেখেন সেই ব্যবস্থাও করা থাকছে। সেখানেও মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক। দলীয় কর্মীরাও মাস্ক বিলি করবে।
কাল বিকেল ৪টে ৪৫ মিনিট থেকে ৫ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত শহিদ মিনার ময়দানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য বিজেপির কলকাতা জোনের অন্যতম দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শঙ্কুদেব পন্ডার বক্তব্য, কলকাতার সকলের কাছে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা যাতে পৌঁছয় সেই চেষ্টা দলের তরফে করা হচ্ছে। তিনশোটির মতো এলইডি স্ক্রিন থাকবে। কলকাতার মধ্যে থাকা ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিভিন্ন এলাকায় জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হচ্ছে।