নব্যেন্দু হাজরা: বছর দশেক ধরেই কলকাতা শহরে রুজি-রুটির অন্যতম মাধ্যম অ্যাপ ক্যাব। কোনও চালকের নিজের গাড়ি আছে, কেউ আবার অন্যের গাড়ি চালান। কিন্তু এই ক্যাব নিয়ে যাত্রীদেরও যেমন অভিযোগের শেষ নেই, তেমনই ওলা-উবেরের মতো বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত নেই চালকদেরও। চালকদের এই সমস্যার বিষয়গুলোই এবার আইআইটি রুরকিতে গবেষণার বিষয় হিসাবে বেছে নিয়েছেন হাওড়া ময়দানের বাসিন্দা সৌরদীপ কোলে।
পাঁচ বছরের কোর্সে তাঁর বিষয় রাইড শেয়ারিং। মূলত চালকদের দিনলিপি নিয়েই গবেষণা করছেন তিনি। উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) থেকে ফোনে জানান, কলকাতায় (Kolkata) থাকার সময়ই দেখেছেন এখানকার অ্যাপ ক্যাব চালকদের নানা সমস্যা। যে সংস্থার হয়ে গাড়ি চালান, তাদের সঙ্গে নিত্য ঝামেলা। প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করার কথাও শুনেছেন। তাই তাঁদের জীবনযাত্রার উপরই গবেষণা করতে চাইছেন তিনি। ইতিমধ্যেই অ্যাপ ক্যাব সংগঠনের থেকে যত বেশি সম্ভব চালকের শেষ ছমাসের আয়-ব্যয়ের হিসাব, ট্রিপের সংখ্যা, ইনসেনটিভ-সহ যাবতীয় তথ্য জোগাড় করছেন রুরকির এই পড়ুয়া।
[আরও পড়ুন: রুদ্রমূর্তি ধারণ করছে ‘রেমাল’, বাংলা থেকে আর কত দূরে?]
হাওড়া (Howrah) ময়দানের এই যুবক কল্যাণীর সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বিটেক পাস করেন। তারপর ম্যানেজমেন্টের উপর গবেষণার সুযোগ পান আইআইটি রুরকিতে। সেখানেই বিষয় পছন্দ করেন 'রাইড শেয়ারিং'। যেখানে চালকদের ফি-দিনের সমস্যা, আয়-ব্যয়ের উপর গবেষণা হবে। পরে এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত করা হতে পারে অ্যাপ সংস্থা এবং চালকদের মধ্যে চুক্তিও।
ওই পড়ুয়ার এই উদ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবহণ দপ্তরের কর্তারাও। খুশি কলকাতা অ্যাপ ক্যাব ইউনিয়নগুলোও। তাঁরা জানান, ড্রাইভারদের জীবনযাত্রা নিয়ে কেউ পিএইচডি (PHD) করছে বা সেই টপিকটা বেছে নিয়েছে তাতে তাঁরা খুব খুশি। জয়েন্ট কাউন্সিল অফ লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক তন্ময় কুণ্ডু বলেন, "এই ভাই যে আমাদের চালকদের জীবনযাত্রা নিয়ে গবেষণা করতে চায়, তাতে আমরা অভিভূত। এভাবে কেউ ভাবেনি আজ পর্যন্ত। আমাদের দিক থেকে যেভাবে তাঁকে সাহায্য করা সম্ভব তা করা হবে।"