অর্ণব আইচ: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন করে ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ১২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ১৫ কোটি ৩ লক্ষ টাকার সম্পত্তি কুন্তল ঘোষ, অয়ন শীল ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, মানিকের স্ত্রী শতরূপা, ছেলে শৌভিককে গ্রেপ্তার করার পর তাঁদের সম্পত্তি ইডি বাজেয়াপ্ত করে। সেই সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১১১ কোটি টাকারও বেশি। ওই অভিযুক্তদের কাছ থেকে নগদ টাকা, গয়না, ফ্ল্যাট, জমি, বাড়ির হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। এর পর অন্য অভিযুক্ত কুন্তল, অয়ন, শান্তনুর সম্পত্তির উপর নজর পড়ে ইডির। জেলবন্দি ওই অভিযুক্তদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, শেয়ারের নথি, মিউচুয়াল ফান্ডের নথি উদ্ধার করে তাতে বিপুল পরিমাণ টাকা লগ্নি ও লেনদেনের হদিশ পান ইডি আধিকারিকরা। এ ছাড়াও তিন অভিযুক্তর বিপুল পরিমাণ ফ্ল্যাট ও জমিও বাজেয়াপ্ত করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘বাংলায় বোমা সস্তা, অন্য জায়গায় দামি’, বিস্ফোরক অর্জুন সিং, জানালেন বোমাবাজি বন্ধেরও আহ্বান]
ইডির অভিযোগ, কুন্তল, শান্তনু ও অয়ন মূলত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যর বড় এজেন্ট হিসাবেই কাজ করতেন। তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা তোলেন। ওই তিন অভিযুক্তর যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ, সেগুলি নিয়োগ দুর্নীতির বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়েই কেনা হয়েছে বলেও অভিযোগ। ইডি গত ডিসেম্বর, মার্চ ও মে মাসে মোট ৬ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে। ওই চার্জশিটগুলিতেও অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর বিষয় উল্লেখ রয়েছে।
২৯ জুলাইয়ের মধ্যে ইডির নিয়োগ দুর্নীতি মামলার অন্য অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বিরুদ্ধে ইডি চার্জশিট পেশ করতে চলেছে। ওই চার্জশিটে তাঁর সম্পত্তির খতিয়ানও উল্লেখ করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।