নিরুফা খাতুন: ক্যালেন্ডার বলছে, জুন মাসের ১৭ দিন পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও বঙ্গে প্রবেশ করেনি বর্ষা। ফলে সকলেরই প্রশ্ন, কবে বাংলায় ঢুকবে বর্ষা। উত্তর দিল হাওয়া অফিস। আগামী ২-৩ দিনে বর্ষা ঢুকতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ৩১ শে মে থেকে ইসলামপুরে আটকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। যা এবার গতি পাবে। এর ফলে উত্তরবঙ্গের বাকি এলাকা ও দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়বে বর্ষা। দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলেও এখন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। ২০ জুন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারের পর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আজ সকালে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে গরম ও অস্বস্তি বজায় থাকবে। বিকেলের পর পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পরে ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও মেঘলা থাকবে আকাশ।
[আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মৃত্যু কলকাতার বাসিন্দার, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১০]
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গে আগামী চার থেকে পাঁচদিন প্রবল বৃষ্টি ও দুর্যোগ চলবে। উপরের দিকের পাঁচ জেলাতেই ভারী বৃষ্টি চলবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসের পূর্বাভাস। সিকিম, ভুটান-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে ব্যাপক বৃষ্টির প্রভাব পড়বে উত্তরবঙ্গের নদীগুলোতে। মঙ্গলবার অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলায়। এই তিন জেলার কয়েক জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা।
বৃষ্টির প্রভাব
১.উত্তরবঙ্গে ভারীবৃষ্টিতে নদীগুলির জলস্তর অনেকটা বেড়ে যেতে পারে।
২.পার্বত্য এলাকায় ধস এবং দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে।
৩.ট্রাফিক ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে।
৪.নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
৫.কাঁচা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।