নিরুফা খাতুন: এক ঝঞ্ঝার ফাঁড়া কেটেছে। কিন্তু সামনেই আসছে আরেকটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যার প্রভাবে থমকে উত্তুরে হাওয়া। বড়দিন, বর্ষশেষেও জাঁকিয়ে শীতের আমেজ উপভোগ করতে পারছেন না বঙ্গবাসী। আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাতের তাপমাত্রা কমলেও দিনে পারদ ঊর্ধ্বমুখী। বড়দিনে তো কনকনে ঠান্ডা উধাও। আর তারপর সপ্তাহান্তে তাপমাত্রা আরও কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। কারণ, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার আরও একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকতে চলেছে রাজ্যে।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হচ্ছিল, তবে তা সমুদ্রেই ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে। শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকতে পারে ঝঞ্ঝা। জেড স্ট্রিম উইন্ড রয়েছে উত্তর পশ্চিম ভারতে। ঘূর্ণাবর্ত থাকবে অসম, বাংলাদেশ ও রাজস্থান সংলগ্ন এলাকায়। আর তার জেরে তাপমাত্রার পারদ আবার চড়তে শুরু করবে। তবে আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। বুধবারের মধ্যে আবার উষ্ণতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা। ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সিকিমে তুষারপাতের প্রভাব পড়বে দার্জিলিং সংলগ্ন এলাকায়। দার্জিলিঙে সোমবারও হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা। রবিবার সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায়। কুয়াশার সম্ভাবনা বেশি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং মালদহ জেলায়। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারে নেমে আসতে পারে। দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে বিক্ষিপ্তভাবে। তবে বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশ।
কলকাতায় অবশ্য শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে ভালোই। একধাক্কায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দিনে স্বাভাবিকের উপরেই পারদ। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৮ ডিগ্রি। রবিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১.১ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বা আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৮১ থেকে ৯৫ শতাংশ। বৃষ্টি হয়েছে ২.৩ মিলিমিটার।