সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ বছর পর রাত পোহালেই রাজ্যে ফের প্রাথমিক টেট। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে নেওয়া হবে পরীক্ষা। যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, সে কারণে সতর্ক পর্ষদ। তা সত্ত্বেও পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা হতে পারে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল। তার মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যে বিস্ফোরক রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন গৌতম পাল। তাঁর আশঙ্কা, “কেউ কেউ বাইরে থেকে পরীক্ষায় বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করতে পারেন।” তাঁর কাছে নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলেও, কে বা কারা পরীক্ষা বানচাল করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু খোলসা করেননি। যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্ষদ এবং প্রশাসন সতর্ক বলেও জানান পর্ষদ সভাপতি।
[আরও পড়ুন: ‘আমার কাজের ধরন একটু আলাদা’, অকপট হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়]
আশঙ্কা প্রকাশের মাত্র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই টেট নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। দাবি, এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফোন পেয়েছেন তিনি। ওই ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন, ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টেট প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। কিছু পরীক্ষার্থীকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আগাম ৫ লক্ষ টাকা এবং প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার পর আরও ৫ লক্ষ টাকা দিলেই পরীক্ষার প্রশ্ন জানিয়ে দেওয়া হবে। যদিও এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ‘বিভ্রান্তিকর’ বলেই দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, “একটি পরীক্ষার আগে অকারণে রাজনীতি করতে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের মানসিক চাপ বাড়াচ্ছেন শুভেন্দু।”
রবিবার বেলা ১২টায় শুরু হবে পরীক্ষা। চলবে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। ১ হাজার ৪৫৩টি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চলেছেন ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন। এবারের পরীক্ষায় কোশ্চেন বুকলেট এবং ডুপ্লিকেট ওএমআর শিট প্রার্থী বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। পরীক্ষার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিশ্চিদ্র করতে, বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে পরিচয় যাচাই, হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি, সিসিটিভি নজরদারির মতো একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়ে প্রস্তুত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যেই পরীক্ষার্থী, অবজার্ভার, ইনভিজিলেটর, সেন্টার ইনচার্জ, পুলিশ, জেলা প্রশাসন-সহ পরীক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত সকলের কার কী করণীয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পর্ষদের তরফে। পরীক্ষার্থী বা অন্য যে কেউ যদি গাইডলাইন লঙ্ঘন করেন বা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা নথি ডিজিট্যাল বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে আদানপ্রদান করেন, তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ নেবে পর্ষদ। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফেও চালু রয়েছে কন্ট্রোল রুম।