সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাকরিহারাদের দায় অস্বীকার করতে পারে না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে দাবি পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের। চাকরিহারাদের অ্যাপটিচিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি, সেই দাবিও খারিজ করে দেন তিনি। আগামী দিনে প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনাচিন্তার কথা জানান পর্ষদ সভাপতি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “চাকরিহারাদের দায় পর্ষদ অস্বীকার করতে পারে না। আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। বোর্ড যথাযথ দায়িত্ব পালন করবে। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।” কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গে পর্ষদ সভাপতি আরও বলেন, “কেউ আর প্রশিক্ষণহীন নন। বোর্ড অনেককে ট্রেনিং দিয়েছে।” বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি অ্যাপ্টিচিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি প্রশিক্ষণহীনদের। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেন গৌতমবাবু। তিনি জানান, নিয়োগের সময় অবশ্যই অ্যাপ্টিচিউড টেস্ট নেওয়া হয়নি। অ্যাপ্টিচিউড টেস্টে কে বেশি আর কে কম নম্বর পেয়েছেন, তা বিশেষজ্ঞরাই জানেন। সকলেই যোগ্যতার বিচারে চাকরি পেয়েছেন।
[আরও পড়ুন: প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! কেন চাকরি গেল? চাকরিহারাদের ভবিষ্যৎ কী?]
উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রশিক্ষণহীন ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্ট। ২০১৪ সালের টেট থেকে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং ২০১৬ সালের প্যানেলভুক্তদের মধ্যে যাঁদের প্রশিক্ষণ নেই, তাঁদেরই চাকরি বাতিল করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে তাঁর কড়া নির্দেশ, আগামী ৩ মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল থেকে নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত এটাই সবচেয়ে বড় সংখ্যক চাকরি বাতিলের নজির।
দেখুন ভিডিও: