দীপঙ্কর মণ্ডল: লাগাতার বিক্ষোভের জের। মাধ্যমিকের (Madhyamik Exam 2021) মতো উচ্চ মাধ্যমিকেও (Higher Secondary 2021) শুরু হল একশো শতাংশ পাশ করানোর প্রক্রিয়া। করোনা সতর্কতায় এবার দুটি পরীক্ষাই হয়নি। আগের পরীক্ষাগুলিতে পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে বিকল্প মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হয়। মাধ্যমিকের সবাই পাশ করলেও উচ্চমাধ্যমিকে দেখা যায় প্রায় কুড়ি হাজার ছাত্র-ছাত্রী ফেল করেছেন।
মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাসকে তলব করেন। বৈঠক শেষে সংসদ সভাপতি জানিয়েছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে। সংসদ সূত্রে খবর, সমস্ত ফেল করা ছাত্র ছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গত শনিবার নবান্নে তলব করা হয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সচিব ও সংসদ সভাপতিকে। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তাঁরা। এরপর শিক্ষা সচিব উচ্চ মাধ্যমিক ফল বিভ্রাট ইস্যুতে জেলাশাসকদের মাঠে নামার নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা: NHRC’র সদস্যরা BJP ঘনিষ্ঠ, হাই কোর্টে দেওয়া হলফনামায় দাবি রাজ্যের]
সংসদ ইতিমধ্যেই একটি নির্দেশিকা পাঠিয়ে জানিয়েছে, ২৯ জুলাই-এর মধ্যে অসন্তুষ্ট ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন নিয়ে স্কুলগুলিকে আসতে হবে। ৩০ জুলাই থেকে নতুন মার্কশিট পাবেন পড়ুয়ারা। ইতিমধ্যে একটি ছাপানো মুচলেকা ডিআইদের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে সই করিয়ে নিচ্ছে সংসদ। মুচলেকায় প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকা বা টিচার ইনচার্জদের জানাতে হচ্ছে, “আমাদের ত্রুটির কারণেই কিছু ছাত্র-ছাত্রীর ভুল নম্বর এসেছে। তার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। দয়া করে নতুন মার্কশিট দেওয়া হোক।” এদিন সংসদে প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন মহুয়াদেবী। ছাপানো মুচলেকার বিরোধিতা করে প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, কোনও কোনও স্কুল হয়ত একাদশের নম্বর পাঠাতে ভুল করেছে। কিন্তু সবাইকেই মুচলেকায় সই করানো ঠিক নয়। ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের ক্ষোভে স্কুলগুলির আসবাব ও সম্পত্তির যে ক্ষতি হয়েছে তার দায় সংসদকে নেওয়ার দাবি করে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার এন্ড হেড মিস্ট্রেস। একাদশের পরীক্ষা নেয় সংসদ। তার মার্কশিট প্রকাশের দায়িত্বও তাদের নেওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন।