রাহুল রায়: প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ৩ হাজার ৯২৯ শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল পর্ষদ।
২০১৪-র টেটের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সংগঠিত করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ১৬ হাজার ৫০০ পদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। তারপরেও বহু পদ ফাঁকা ছিল বলে মামলা হয় আদালতে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, পরবর্তী টেটের আগে এই শূন্যপদগুলি পূরণ করতে হবে। মামলা চলাকালীন পর্ষদের সঙ্গে আলোচনায় দেখা যায় ৩ হাজার ৯২৯ পদ ফাঁকা রয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: ২০১৯ সাল থেকে অনুব্রত ও সুকন্যার অ্যাকাউন্টে লটারির মোটা টাকা! চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল CBI]
২০১৪ সালের টেটের (Primary TET) প্রেক্ষিতে দু’টি নিয়োগপ্রক্রিয়া সংগঠিত হয়। ২০১৬ সালে রাজ্যে ৪২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। আবার ২০২০ সালে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি ছিল, বিভিন্ন জেলায় ৩ হাজার ৯২৯ ফাঁকা পদ পড়েছিল।
সম্প্রতি প্রাথমিক সিবিআই, শিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিপ্রার্থীদের বৈঠক হয়। সেখানেই প্রায় ৪ হাজার শূন্যপদের হদিশ মেলে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে। এবার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই আদালতের দ্বারস্থ হল পর্ষদ। ফলে ফের বিশবাঁও জলে চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ।
এদিকে প্রাথমিকে ২০১৬ র নিয়োগপ্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে এখনো রয়েছে শূন্যপদ। সাত জেলায় ১৬৩০ টি শূন্যপদ রয়েছে বলে দাবি ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের। অবিলম্বে নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশের আবেদন তাঁদের। এর প্রেক্ষিতে মামলাকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য পর্ষদকে পরামর্শ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আগামী বুধবার বৈঠকের দিন জানাবে পর্ষদ।