সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস। ‘আত্মপ্রেমী’ প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘শুধু আমি আর আমি’ ছাড়া কোনও বুলি নেই বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছে রাজ্যের শাসকদল।
মমতা বনাম মোদি, বা তৃণমূল ভার্সাস বিজেপি তরজা নতুন কিছু নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনে নমোর মুখে ‘দিদি ও দিদি’ ডাক সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত মিমের সুনামি তৈরি করেছিল। এবার প্রধানমন্ত্রীর এক সাক্ষাৎকার ঘিরে নতুন মাত্রা লাভ করেছে সেই তরজা। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “২০১৪ সালে কেউই জানতেন না মোদি কে। তবুও তাঁরা আমাকে ভোটে জিতিয়েছিলেন বিরাট জনাদেশে। পরের দশ বছরে তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন সর্বত্রই কমবেশি মোদি রয়েছে। সে চন্দ্রযান মিশন হোক কিংবা আমার সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে। এখন তাঁরা আমাকে ভাল করেই চেনেন। আমার সন্দেহ নেই মানুষ সঠিক নির্বাচনই করবেন।”
[আরও পড়ুন: সম্মেলনের প্রস্তুতি তুঙ্গে, ‘জি-২০ ইন্ডিয়া’ নামে নয়া অ্যাপ আনল কেন্দ্র]
বিশ্লেষকদের মতে, সামনের বছরই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই মোদি দাবি করলেন, সামনের বছর তাঁর ফের মসনদে বসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। পাশাপাশি, জোর দিয়েছেন মজবুত ও স্থায়ী সরকার গঠনে। অর্থাৎ বিরোধীদের ‘রামধনু’ ইন্ডিয়া জোট যে আদৌ স্থায়ী ও স্থিতিশীল সরকার গঠনের উপযুক্ত নয় এবং তিনি যে মহাজোটকে আদৌ গুরুত্ব দেন না, সেটাও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন। আর তারপরেই নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে তোপ দাগে তৃণমূল। একটি পোস্টে মোদিকে ‘আত্মপ্রেমী’ বলে তোপ দাগে দলটি। তারা লেখে, ‘আমরা বিভ্রান্ত, তিনি প্রধানমন্ত্রী না প্রচারমন্ত্রী?’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দেশের নাম সরকারিভাবে ভারত করা হবে বলে সম্প্রতি জল্পনা তৈরি হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতির তরফে যে আমন্ত্রণপত্র তৈরি হয়েছে, সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র (President of India) পরিবর্তে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ (President of Bharat)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আসরে নেমেছে ইন্ডিয়া জোটও। এই প্রেক্ষাপটে সংবাদমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পরপর সাক্ষাৎকার আসলে মোদি ব্র্যান্ডের প্রচার বলেই মনে করছেন অনেকে।