সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডুরান্ড কাপ সেমিফাইনালের আগে ফুটছেন মোহনবাগানের তারকা ফুটবলার জেসন কামিন্স। গোলের মধ্যে রয়েছেন তিনি। গোল পেলে যে কোনও ফুটবলারেরই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপার বলছেন, ”আমরা ভারতের সেরা দল। যে কোনও দলকে আমরা হারানোর ক্ষমতা রাখি। জাতীয় দলের সাত-আটজন সেরা ফুটবলার রয়েছে আমাদের দলে। বিদেশি ফুটবলাররাও নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। মুম্বইকে হারিয়ে আমরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী। গোয়াকে হারানোর ব্যাপারেও আমি আশাবাদী।” কামিন্সের কথাগুলো শুনলে ভীত হতেই পারে গোয়া।
কোয়ার্টার ফাইনালে এফসি গোয়া পিছিয়ে থেকে চেন্নাইয়িনকে হারিয়েছে। শেষ চারে দুর্দান্ত এক লড়াই হবে বলেই মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। কামিন্স দলের লক্ষ্য সম্পর্কে বলছেন, ”ডুরান্ড কাপের ফাইনালে যাওয়াই আমাদের প্রথম লক্ষ্য। আমাদের যাবতীয় ফোকাস ওদিকেই। আইএসএল বা এএফসি কাপের আগে প্রস্তুতি টুর্নামেন্টে একটা ট্রফি যদি ঘরে আসে, তাহলে দলের মনোবল বাড়ে।”
[আরও পড়ুন: প্রয়াত ‘বউদিমণির কাগজওয়ালা’ খ্যাত গীতিকার কিংশুক চট্টোপাধ্যায়, বন্ধুকে হারিয়ে কী বললেন রূপঙ্কর?]
গোয়ার খেলা দেখেননি কামিন্স। ফলে কাতার বিশ্বকাপে খেলা কামিন্সের পক্ষে বলা সম্ভব নয়, কোথায় কতটা শক্তিশালী বা দুর্বল এফসি গোয়া। মোহনবাগান তারকা বলছেন, ”আমি নিজের এবং নিজের দলের খেলার উপরে বেশি আস্থা রাখি। গোল করা আমার কাজ। গোল করলে যে কোনও স্ট্রাইকারের আত্মবিশ্বাসই বেড়ে যায়। অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর গোল করেছি। এখানে এসেও আমি গোল পেতে শুরু করেছি। তবে নিজের সেরা খেলাটা এখনও দিতে পারিনি।”
কামিন্স নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি নিজে বলছেন, একশো শতাংশ দিতে আরও কয়েকটা ম্যাচ লাগবে। মোহনবাগানের তারকা বলছেন, ”সবুজ-মেরুন সমর্থকরা যেভাবে আমার উপরে আস্থা রাখছেন, অনুশীলনে উদ্বুদ্ধ করছেন, তাতে গোল করে ওদের আনন্দ দেওয়া আমি লক্ষ্য হিসেবেই নিয়েছি। ভারতের সেরা ক্লাবে খেলতে এসেছি। সবুজ-মেরুনের নতুন তারকা হতে চাই। মোহনবাগান সমর্থকদের আরও ভালবাসা পেতে চাই। আর তা পেতে হলে গোল করতে হবে। জিততে হবে। ট্রফি পেতে হবে।”
[আরও পড়ুন: পক্ষে দেশের ৮০ শতাংশই! সমীক্ষায় ‘মোদিময়’ ভারত]