সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালাকোটের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলা ১০০ শতাংশ সফল৷ দাবি করলেন ওই অপারেশনে থাকা বায়ুসেনা বাহিনীর দুই স্কোয়াড্রন লিডার৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হামলা নিয়ে দু’জনেরই বক্তব্য, “আমরা টার্গেট মিস করিনি।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই চালকের দাবি, অভিযানে তাঁদের দু’ধরনের ইজরায়েলি অস্ত্র প্রয়োগ করার কথা ছিল। এক, স্পাইস ২০০০ (স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চালিত এক ধরনের বোমা) এবং দুই, ক্রিস্টাল মেজ (যা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার পাশাপাশি ধ্বংসের ছবিও প্রমাণ হিসাবে তুলে রাখে)।
[আরও পড়ুন: ‘হেলমেট না পরলে গুলি করব’, যোগীর রাজ্যে পুলিশের নৃশংসতার ভিডিও প্রকাশ্যে]
প্রথম অস্ত্রটি অর্থাৎ স্পাইস ২০০০ তাঁরা প্রয়োগ করলেও, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দ্বিতীয়টি প্রয়োগ করতে পারেননি। তবে প্রথম অস্ত্রটি যে সঠিক টার্গেটে আঘাত করেছিল, তা নিয়ে তাঁরা নিশ্চিত৷ এক বিমানচালকের কথায়, ‘‘আমাদের একেবারেই সংশয় নেই যে স্পাইস ২০০০ নিজের টার্গেটেই আঘাত করেছে৷কারণ, সেটি কখনোই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় না।’’ ২.৩০ ঘণ্টা ছিল অভিযানের মেয়াদ। যুদ্ধবিমান মিরাজ ২০০০এর পাইলট তথা স্কোয়াড্রন লিডার সোজাসাপটাই জানিয়েছেন, এমন চ্যালেঞ্জিং একটা কাজের জন্য তাঁরা বেশ টেনশনে ছিলেন৷ এবং তা কাটাতে প্রচুর ধূমপান করেছিলেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার প্রত্যুত্তরে ফেব্রুয়ারির ২৬ তারিখ পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরের বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনী৷ ভোররাতে ওই এলাকার জঙ্গিঘাঁটিগুলোর উপর আঘাত হানে ১২টি মিরাজ ২০০০ বোমারু বিমান৷ তাতে জইশ-ই-মহম্মদের বেশ কিছু ঘাঁটি নষ্ট এবং জঙ্গিদের প্রাণহানি হয়েছে বলে দাবি করা হয় বায়ুসেনার তরফে৷
[আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়াতে গিয়ে পুড়লেন চার বিজেপি কর্মী!]
যদিও বায়ুসেনার এই অপারেশন আদৌ কতটা সফল হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় নানা স্তরেই৷ নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নে সরকারকে রীতিমত কোণঠাসা করা হতে থাকে৷ তবে সেনাপ্রধান, বায়ুসেনা প্রধান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-সকলেই একযোগে এর সাফল্য দাবি করে এসেছেন৷ এবার সাফল্য নিয়ে ওই অপারেশনে থাকা দুই স্কোয়াড্রন লিডারের দাবি সমালোচকদের মুখের উপর জবাব দিল বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা৷
The post ‘টার্গেট মিস করিনি’, জোরাল দাবি বালাকোটে হামলাকারী বায়ুসেনার পাইলটের appeared first on Sangbad Pratidin.