প্রীতিকা দত্ত: সমাজের রাখঢাক সরিয়ে আরও দৃশ্যমান হোক মেয়েদের ‘পিরিয়ড’। ২০১৯-এ দাঁড়িয়ে এই চাওয়াটা কি খুব ‘বড়’? সেই চাওয়াকে সফল করতে ‘ঋতুস্রাব’ আরও একধাপ এগোল প্রাপ্তবয়স্কতার দিকে। আগামী মার্চে ইউনিকোড যে ৫৯টি নয়া ইমোজি আনতে চলছে, তার মধ্যে একটা হল ‘এক বিন্দু রক্ত’। ইউনিকোডের তরফে জানানো হয়েছে, এই ‘রক্তবিন্দু’ আসলে ঋতুস্রাবের চিহ্ন।
[নির্বাচনের আগে কড়া ফেসবুক, স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এল নয়া নীতি]
শুক্রবার সংস্থার তরফে টুইটারে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হল ‘#পিরিয়ডইমোজি’। ২০১৭-য় ‘প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ইউকে’র একটি সমীক্ষার রিপোর্ট দেখার পরই ‘রক্তবিন্দু’ ইমোজি আনার কথা ভাবা হয়। ওই সমীক্ষায় প্রায় পঞ্চান্ন হাজার মহিলা অংশগ্রহণ করেন। সমীক্ষার মূল লক্ষ্য, ঋতুস্রাব সমাজে যেন আর লজ্জার কারণ না হয়। ব্রিটেনের ‘বডিফর্ম’ নামে সংস্থার বিজ্ঞাপনে স্যানিটারি ন্যাপকিনে নীল নয়, লাল তরল ঢেলে ট্যাবু ভাঙার চেষ্টা হয়। #BloodNormal অর্থাৎ পিরিয়ড স্বাভাবিক। এই বার্তা দিতেই প্রচার শুরু করে ‘বডিফর্ম’। ২০১৫ সালে পিরিয়ডের প্রথম দিন ‘ট্যাম্পন’ ছাড়া বস্টন ম্যারাথনে দৌড়ে সাড়া ফেলে দেন কিরণ গান্ধী। বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই ঋতুকালীন ছুটি আইনি বৈধতা পেয়েছে। যার সূত্র ধরে স্কুলে, কলেজে, স্টেশন চত্বরে ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন ‘ইনস্টল’ করা হচ্ছে। সেই তালিকায় নয়া সংযোজন ‘এক বিন্দু রক্ত’র ইমোজি।
[নজরে বাল্ক মেসেজ, মাসে ২০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে হোয়াটসঅ্যাপ]
দেশজুড়ে চলতে থাকা ‘নাইন মুভমেন্ট’-এর রিচা সিং ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে বললেন, “এটা সত্যিই একটা সদর্থক পদক্ষেপ। পিরিয়ড নিয়ে কথা বলা সহজ হল। যা নিয়ে এতদিন ঢাকঢাক গুরগুর হত। আমাদের আন্দোলনেও এই ইমোজিকে ব্যবহার করব।” আরও এক সমাজকর্মী শ্রীলেখা চক্রবর্তী। যিনি পাঁচ বছর ধরে ঝাড়খণ্ডের সাঁওতাল পরগনার মেয়েদের ঋতুকালীন সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কাজ করছেন। শ্রীলেখার কথায়, “নতুন ইমোজি অবশ্যই ভাল। তবে প্রযুক্তিনির্ভর প্রোগ্রাম গ্রামে কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা ভেবে দেখা দরকার। গ্রামে কতজন মেয়ে মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন? পরের বার গ্রাম, শহর-দু’জায়গার মেয়েদের কথা ভাবলে বেশি খুশি হব। কারণ, ‘পিরিয়ড’ শুধুমাত্র মেয়েদের ইস্যু নয়। পাবলিক হেলথের ডোমেন থেকে ঋতুস্রাবকে দেখা উচিত।”
The post টুইটারে ভাইরাল #PeriodEmoji, মার্চেই সংযোজন হবে ‘রক্তবিন্দু’ appeared first on Sangbad Pratidin.