সুকুমার সরকার, ঢাকা: অচিরেই রোহিঙ্গা প্রত্যার্পণ শুরুর বিষয়ে আশাপ্রকাশ করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন (AK Abdul Momen)। তিনি জানান, ‘রোহিঙ্গাদের প্রত্যার্পণ বাংলাদেশে জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ বছরের শুরুতেই আমরা সেই কাজ শুরু করতে চাই।’
রবিবার ঢাকায় সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশমন্ত্রী বলেন, ‘পয়লা জানুয়ারি মায়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর দপ্তরের মন্ত্রী টিন্ট সোয়েকে চিঠি লিখে এই বছরই প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ করেছি। মনে করিয়ে দিয়েছি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে নিরাপত্তা দিয়ে রোহিঙ্গা (Rohingya)-দের ফেরত নেবে। রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। কিন্তু, এখন কোনও অগ্রগতি হয়নি। আমি বলেছি এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং নববর্ষে আমরা আশা করি যে আপনারা আপনাদের কথা রাখবেন। ১৯৭৮ ও ১৯৯২ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে আমি বলেছি, অতীতে কথা রেখেছেন এবং এখনও নিজেদের লোকগুলো নিয়ে যান। যদি এদের ফিরিয়ে না নেওয়া হয়, তবে এ অঞ্চলে অশান্তির আশঙ্কা আছে।’
[আরও পড়ুন: করোনা টিকা আমদানিতে তৎপরতা, সেরামকে ৬০০ কোটির ব্যাংক গ্যারান্টি দিল বাংলাদেশ]
সমস্যার সমাধান একমাত্র মায়ানমারই করতে পারে এবং তাদের ব্যবহারের পরিবর্তন হচ্ছে বলেও আজ জানান বিদেশমন্ত্রী। বলেন, ‘মায়ানমারের ব্যবহারে পরিবর্তন হচ্ছে। আমরা আশাবাদী। দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। এমনকি আইনি কাঠামোর মধ্যেও কাজ করছি। যত ব্যবস্থা আছে সব নিয়ে কাজ করছি। মায়ানমারকে বাছাই করার জন্য ছয় লক্ষের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এর মধ্যে তারা ২৮ হাজার বাছাই করেছে। অত্যন্ত ধীরগতিতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশ, চিন ও মায়ানমার ত্রিপাক্ষিক ব্যবস্থার উদ্যোক্তা হচ্ছে চিন। তারা এটি নিয়ে কাজ করছে। আমরা সবসময় তৈরি। তারা যখন তারিখ দেবে আমরা বসব। এছাড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যার্পণের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জাপানও। তাদের অনেক বড় বিনিয়োগ আছে মায়ানমারে। আমরা অনুরোধ করায় তারা সাহায্য করবে বলেছিল। এটি চিনের উদ্যোগের বাইরে। তবে সেই প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ভারত এবিষয়ে মায়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের সাহায্য করবে বলেছে। তারাও চায় রোহিঙ্গারা মায়ানমারে ফেরত যাক।’