সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর দুর্ঘটনা মিজোরামে (Mizoram)। আইজল থেকে ২১ কিলোমিটার দূরে নির্মীয়মাণ রেলব্রিজ ভেঙে (Under Construction Rail Bridge Collapse) মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২২ জনের। মৃতরা সকলেই শ্রমিক বলে জানা গিয়েছে। ধসে পড়া ব্রিজের তলায় অনেকে আটকে রয়েছেন। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ আচমকাই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে রেলের ব্রিজটি। সেই সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন ৩৫-৪০ জন শ্রমিক। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে, জানিয়েছে প্রশাসন। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তরপূর্বের রাজ্যের দুর্ঘটনায় মালদার বাসিন্দা বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যুর আশঙ্কা, টুইট উদ্বেগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ২১ কিলোমিটার দূরের সাইরাং-এর পাহাড়ি এলাকায় রেলব্রিজের কাজ চলছিল। বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ আচমক ভয়ংকর শব্দে ভেঙে পড়ে নির্মীয়মাণ ব্রিজটি। প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে ব্রিজের উপরের অংশ। ধুলোর কুয়াশায় ঢেকে গিয়েছে জায়গাটি। মৃত্যু হয় ব্রিজ তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ১৭ জন শ্রমিক। ঘটনার সময় দুর্ঘটনাস্থলে ৩৫ থেকে ৪০ জন শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অনেকেরই খোঁজ মিলছে না। ভাঙা ব্রিজের নিচে তাঁরা আটকে আছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: সফলভাবে অবতরণ করুক চন্দ্রযান, প্রার্থনায় নিউ ইয়র্ক থেকে বারাণসী]
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই উদ্ধার কাজে নেমেছে প্রশাসন। পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ সমস্যা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়বে, জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ ও দমকলের উদ্ধারকারী দল। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। পাশাপাশি নিহতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেছেন তিনি। টুইট করে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃত পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: রাজস্থানে ট্রাকের ধাক্কায় তালগোল পাকিয়ে গেল গাড়ি, মৃত কমপক্ষে ৬ জন]
মিজোরামের দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আশঙ্কা বাংলার বেশ কয়েকজন শ্রমিকের। শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইট করেন, “মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেলব্রিজের ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমি শোকস্তব্ধ। এর ফলে আমাদের মালদা জেলার বাসিন্দা বেশ কয়েকজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি, মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে উদ্ধার এবং অন্য কাজে সমন্বয় করতে। মালদা জেলা প্রশাসনকে শোকাহত পরিবারগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনে সাহায্য করতে বলা হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের স্বজনদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেব। আহতদের প্রতি সহমর্মিতা, নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”