নিরুফা খাতুন: পূর্বাভাস ছিলই। রথের দুপুর গড়াতেই আচমকা সন্ধে নামল কলকাতায়। মুষলধারে বৃষ্টিতে ভাসল তিলোত্তমা। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, রবিবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। সপ্তাহের শেষে ফের দুর্যোগের আশঙ্কা পাহাড়ি এলাকায়।
হাওয়া অফিস বলছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তটি আপাতত অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে। এর থেকে নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা উপকূলে। মৌসুমী অক্ষরেখা বিস্তৃত রয়েছে রাজস্থান থেকে আসানসোল ও হুগলি হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। ফলে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টি না হলেও বৃষ্টি চলবে।
[আরও পড়ুন: গুজরাটের বহুতলের ধ্বংসস্তূপ থেকে মিলল ৭ জনের দেহ, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ]
দক্ষিণবঙ্গ আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দিনভর মেঘলা আকাশ। রথের দিন দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম ও পূর্ব বর্ধমান এবং বীরভূম মুর্শিদাবাদ জেলাতে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টি না হলে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।
উত্তরবঙ্গে সব জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলবে উত্তরের পাঁচ জেলাতে। রবিবার, রথের দিন বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা কিছুটা কমবে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি উত্তর দিনাজপুরে। সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। শুধুমাত্র দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ ও ব্যাপকতা বাড়বে। প্রবল বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। সপ্তাহান্তে দুর্যোগে আশঙ্কা।