বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কেউ অসুস্থ ছিলেন। কেউ বা খবর পাননি। আর সেকারণে আসা হয়নি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। আর তাই আগামী শুক্রবার শপথ নেবেন পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) দুই মন্ত্রী-সহ ১২ জন বিধায়ক। শপথ বাক্য পাঠ করাবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যে ভোটপর্ব মিটে যায় ২৯ এপ্রিল। ফলাফল বের হয় ২ মে। বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হ্যাটট্রিক সারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ মে রাজ্যপাল তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর গত ৭ এবং ৮ মে শপথ নিয়েছিলেন নবনির্বাচিত বিধায়করা। তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee)। প্রথমদিন অর্থাৎ ৭ মে শপথ নেন ১৪৩ জন। ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অতীন ঘোষ, শশী পাঁজা, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মদন মিত্র-সহ একাধিক হেভিওয়েট। তালিকায় ছিলেন ১২ তারকাও। বারাকপুর থেকে নির্বাচিত রাজ চক্রবর্তী, মেদিনীপুর থেকে নির্বাচিত জুন মালিয়া, উত্তরপাড়া থেকে নির্বাচিত কাঞ্চন মল্লিকরা শপথ নেন। এছাড়া ছিলেন অদিতি মুন্সি, লাভলি মৈত্র, হিরণ, বীরবাহা হাঁসদা, সোহম চক্রবর্তী এবং আরও অনেকে। এছাড়াও ছিলেন অশোক দিন্দা, মনোজ তিওয়ারিও। পরদিন অর্থাৎ ৮ মে শপথ নেন ১৪৮ জন বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: দুর্যোগের মধ্যেও ডায়মন্ড হারবারের রাস্তায় অভিষেক, ঘুরে দেখলেন ত্রাণ শিবির]
কিন্তু করোনা সংক্রমিত হওয়ায় এই দুদিনে নব নির্বাচিত বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেননি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রথীন ঘোষ। এবার এই দুই মন্ত্রী-সহ ১২ জন বিধায়ককে শপথ নিতে হবে। জানা গিয়েছে, এই ১২ জনের মধ্যে এক বিজেপি বিধায়কও আছেন। এঁদের মধ্যে চারজন করোনার জন্য শপথ নিতে পারেননি। বাকি আটজনের ক্ষেত্রে যোগাযোগের ত্রুটি হয় বলে বিধানসভা সূত্রে খবর। সঠিক সময়ে তাঁদের কাছে শপথের খবর পৌঁছয়নি, তাই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁরা থাকতে পারেননি। এঁদের বেশিরভাগই মালদা ও মুর্শিদাবাদ থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। প্রত্যেককেই শুক্রবার সঠিক সময়ের মধ্যে বিধানসভায় হাজির হয়ে শপথ নিতে আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও আগেরবার অধিবেশন কক্ষে শপথের অনুষ্ঠান হলেও এবার তা নৌশাদ আলি কক্ষে হবে বলে খবর বিধানসভা সূত্রে।