শুভঙ্কর বসু: রাজ্যজুড়ে ৫০ হাজার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা বাকি। নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের রাজ্য সফরের আগে এই তথ্য চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার সন্ধ্যায় দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরার নেতৃত্বে শহরে পা রাখছে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সুনীল আরোরা ছাড়াও আসছেন নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র ও রাজীব কুমার। এরপর রাতেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এবং এডিজি আইন-শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিংয়ের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা।
সূত্রের খবর, উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের রাজ্য সফরের পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে ১০ হাজার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (non-bailable warrants) কার্যকর করা গিয়েছে। তবে এখনও সিংহভাগই বাকি। আর সেটাই চিন্তায় রাখছে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের। এই নিয়ে জল্পনার মাঝে আজ সিআরপিএফের (CRPF) আইজি পিকে সিং, বিএসএফের (BSF) আইজি একে সিং এবং রাজ্য পুলিশের এডিজি (ADG) আইন-শৃঙ্খলার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আফতাব। নির্বাচনে বাহিনীর পর্যাপ্ততা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘শেষে মুখ্যমন্ত্রীই না চলে যান বিজেপিতে!’, দলবদলের আবহে মমতাকে কটাক্ষ সূর্যকান্ত মিশ্রের]
করোনা মহামারীর কারণে এবার যেহেতু ২৮ হাজারের বেশি বুথ বৃদ্ধি পেতে চলেছে সেক্ষেত্রে গত লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় এবার ৩০ শতাংশ বাহিনী অতিরিক্ত প্রয়োজন পড়বে বলে জানা গিয়েছে। অতিরিক্ত বুথগুলি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে বলেও খবর। আরও জানা গিয়েছে উপ-নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের নির্দেশ মতো, আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলি মেরামতির জন্য শীঘ্রই দরপত্র ডাকার কাজ শুরু হবে। আর বুধবার পশ্চিমবঙ্গে এসে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেও বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেখানে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে বলেই সূত্রের খবর।