টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: জেলায় জেলায় এবার পতিত জমিকে সুজলা সুফলা করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। রুখা-শুখা বাঁকুড়া জেলাকে মডেল করে সামনে এগোতে চাইছে রাজ্য প্রশাসন। কৃষি, উদ্যান পালন, মৎস্য, পশুপালন এবং ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে বেঙ্গল ইন্ট্রিগ্রেটেড রুরাল ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট বা বার্ড-এর মাধ্যমেই চলতি মাসের মধ্যে এক হাজার ৪১৩ একর পতিত জমিকে চিহ্নিত করে কাজ শুরু করতে চলেছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে রানিবাঁধ, হীড়বাঁধ, ইন্দপুর, খাতড়া, সিমলাপাল, তালডাংরা ও গঙ্গাজলঘাটি-সহ বেশ কয়েকটি ব্লকে জমি চিহ্নিত করে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ শেষ করেছে জেলা প্রশাসন। অন্তত এমনটাই দাবি বাঁকুড়ার জেলাশাসক উমাশংকর এসের।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শংকর নস্কর জানান, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের সময় রাজ্যের মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলার একাধিক এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপরেই রাজ্য সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, আনুমানিক প্রায় সাড়ে চার হাজার একর পতিত জমি রয়েছে। যেখানে কোনও চাষবাস হয় না । ভূ-প্রাকৃতিক কারণে এই সমস্ত এলাকায় বৃষ্টির জল দাঁড়ায় না। তা গড়িয়ে অন্যত্র চলে যায়। ফলে রুখা-শুখা বাঁকুড়ায় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলেও সেই জল কাজে লাগাতে পারেন না কৃষকরা। তাই ওই সব পতিত জমি থেকে মানুষকে আয়ের পথ দেখাতে কৃষি, উদ্যান পালন, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, মাছ, ফলমূল এবং দেশজ কালো ছাগল পালনের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোগী বেকার যুবক-যুবতীদের যুক্ত করে কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি জেলাকে সুজলা সুফলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বীজ বোনার ৪ মাস পরই মিলবে পিঁয়াজ, জেনে নিন চাষের পদ্ধতি]
সূত্রের খবর, রানিবাঁধ ব্লকের বীরবাঁধে ৪৩৭ একর, ধোবাকোটায় ১৯৬ একর, হীড়বাঁধের তিলাবনীতে ২১৮ একর, বাসুদেবপুরে ২২০ একর, খাতড়ার কুমার বহাল ও ঝাঁটিপাহাড়িতে ২৫০ একর, ইন্দপুরের পদুলাড়ায় ৩৪ একর, সিমলাপালের ধানখুনিয়ায় ২০ একর, তালডাংরার রেশিয়াগেড়ায় ১৪ একর এবং গঙ্গাজলঘাটির বড়জুড়িতে দু’একর জমিতে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদ, মুরগি খামারের মতো পাখি ও পশুপালন-সহ একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
The post কৃষির উন্নয়নে নজর রাজ্যের, পতিত জমি চিহ্নিত করে শুরু চাষযোগ্য করার পালা appeared first on Sangbad Pratidin.