ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলার ভোট পরিচালনার জন্য উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০ কোম্পানি পুলিশবাহিনী আনতে পারে নির্বাচন কমিশন। সে খবরের আঁচ পেতেই নড়েচড়ে বসল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। শাসকদলের দাবি, বাংলার নির্বাচনে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ আনলে তারা বিজেপির হয়ে কাজ করবে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, অন্য যে কোনও অ-বিজেপি রাজ্য থেকে পুলিশ আনা হোক। কিন্তু বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ সরকারের পুলিশ এলে পক্ষপাতিত্ব হবে।
কমিশনকে (Election Commission) লেখা চিঠিতে ডেরেক বলছেন,”আমাদের কাছে তথ্য আছে উত্তরপ্রদেশ থেকে ৩০ কোম্পানি সশস্ত্র রাজ্য পুলিশ আনা হচ্ছে এরাজ্যের নির্বাচনে। আমরা অন্য কোনও অ-বিজেপি রাজ্য থেকে পুলিশ আনার বিরোধী নই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ থেকে পুলিশ আনা হলে আমাদের আপত্তি আছে। উত্তরপ্রদেশ যেহেতু বিজেপি (BJP) শাসিত, এবং সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি শাসিত, তাই আমাদের ধারণা সেখান থেকে পুলিশ এলে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমাদের ধারণা উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বিজেপির হয়ে কাজ করবে।”
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে দোল-হোলিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে রাজ্যগুলি, নয়া নির্দেশিকা কেন্দ্রের]
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের আগমন নিয়ে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির অপব্যবহারেরও অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি,”কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকার বা সরকারি আধিকারিকরা ভোট ঘোষণার পর থেকে নিজেদের সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করছে না। কিন্তু কেন্দ্রের ক্ষেত্রে তেমনটা বলা যাচ্ছে না। কেন্দ্রের নির্দেশে ইডি, সিবিআই, এনআইএ, আইটি অতিসক্রিয়তা দেখাচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি ভোট ঘোষণার পর থেকে তৃণমূল নেতা, প্রার্থী বা মুখপাত্রদের বহু বছর ধরে ঝুলে থাকা মামলায় অকারণে তলব করছে। অথচ, ওই একই ধরনের মামলায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না।” শুধু তাই নয়, তৃণমূলের অভিযোগ, রাজ্যে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), নীতীন গড়করির মতো মন্ত্রীরাও ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন।